please find this

Tuesday, 27 May 2014

সুস্বাদু পেশোয়ারি ভুনা কাবাব


কাবাব খেতে কে না পছন্দ করে? অনেক দিন গরমের পর আবহাওয়াটা এখন স্বাস্তিদায়ক হওয়ায় একটু কাবাব খাওয়াই যায়। তবে যদি ভিনদেশী স্বাদ পেতে চান তাহলে শিখে নিন পেশোয়ারি ভুনা কাবাবের রেসিপিটি।

ধাপ-১

উপকরণ গরুর মাংস হাড়সহ এক কেজি, আদা বাটা এক টেবিল চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, মরিচ এক টেবিল চামচ, জিরা এক চা চামচ, ধনে বাটা এক টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, তেজপাতা তিন টুকরা, লবণ স্বাদমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন

১. ওপরের সব উপকরণ একত্রে মেখে মাংস ম্যারিনেট করে রাখুন চার ঘণ্টা।

ধাপ-২

উপকরণ

পেঁয়াজ বেরেস্তা এক কাপ, কাজু, পেস্তা ও চিনাবাদা্‌ম,কিশ মিশ ভেজে বাটা ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, গরম মসলা এক টেবিল চামচ, ঘন নারিকেল দুধ এক কাপ, ভিনেগার এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, টমেটো সস আধা কাপ, চিনি এক চা চামচ, কাঁচা মরিচ পাঁচটি, জায়ফল আধা চা চামচ, জয়ত্রী আধা চা চামচ, তেল আধা কাপ।

যেভাবে তৈরি করবেন

১. মোটা কড়াইতে তেল গরম করে রসুন কুচি লাল করে ভেজে নিন। এরপর বাটা পেঁয়াজ দিন।

২. ম্যারিনেট করে রাখা মাংস ঢেলে মৃদু আঁচে কষান।

৩. মাংসের মধ্যে ভিনেগার ঢেলে দিন।

৪. মাংস আশি ভাগ সিদ্ধ হলে নারিকেল দুধ ঢেলে দিন। এরপর পেঁয়াজ বেরেস্তা ও বেটে রাখা বাদাম অ কিশ মিশ ঢেলে দিন।

৫. মাংস সিদ্ধ হলে ৩০ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

খেতে ত চাই না কিন্তু খিদে লাগে যে?


খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ বা ডায়েট শুরু করার পর সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো খিদে নিয়ন্ত্রণ করা। প্রচণ্ড খিদে পেয়ে যাচ্ছে, অকল্পনীয় ধৈর্য ও সংযমের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। একসময় অধৈর্য হয়ে তা ছেড়েও দিচ্ছেন, ফিরে যাচ্ছেন আগের অবস্থায়।

কেন খিদে, কেন তৃপ্তি?

আমাদের মস্তিষ্কে রয়েছে খিদে ও তৃপ্তির কেন্দ্র। এরাই তৈরি করে খিদে ও তৃপ্তির অনুভূতি। কিন্তু বার্তা আসে একটু দূর থেকে। সেখানে কাজ করে মূলত দুটি হরমোন। পেট খালি থাকলে পাকস্থলি থেকে নিঃসৃত হয় গ্রেলিন নামের হরমোন, যা স্নায়ু বেয়ে মস্তিষ্কে খিদে কেন্দ্রের সুইচ অন করে। পেট ভরে গেলে বন্ধ হয় এই বার্তা পাঠানো। আবার দেহের চর্বি কোষ থেকে তৈরি আরেকটি হরমোন লেপটিন, যা তৃপ্তি কেন্দ্র চালু করে। কিন্তু মোটা ও চর্বিবহুল মানুষের শরীরে অতিরিক্ত লেপটিন অনেক সময় এই তৃপ্তি কেন্দ্রকে অনুভূতিহীন করে দেয়। ফলে কিছুতেই তৃপ্তি হয় না, কেবল খেতে মন চায়। এটা মনের খিদে, আসল খিদে নয়।

তৃপ্তিবর্ধক খাবার

বিজ্ঞানীরা বলছেন, কম খেয়েও তৃপ্তির অনুভূতি জাগায় সেদ্ধ আলু, ওটমিল বা যবের তৈরি খাবার, মাছ, চর্বিহীন মাংস বা ফলমূল। আবার ক্যান্ডি বার, চকলেট, ডোনাট বা পটেটো চিপসজাতীয় খাবারে প্রচুর ক্যালরি থাকলেও তাতে খিদে তো মেটেই না, বরং আরও খেতে ইচ্ছে করে।

কীভাবে বাড়াবেন তৃপ্তি?

১. প্রতি বেলার খাবারে বেশ খানিকটা আমিষ রাখুন। আমিষ ক্ষুধাবর্ধক গ্রেলিনের নিঃসরণ কমায়। মাছ, চর্বিহীন মাংস, ডিম, ডাল ইত্যাদি তৃপ্তি যোগায়।

২. পেট দ্রুত ভরতে আঁশযুক্ত খাবারের জুড়ি নেই। খোসাসুদ্ধ ফলমূল, গোটা শস্য ও সবজি খাবার অভ্যাস করুন।

৩. একবারে পেট ভরে না খেয়ে বারবার অল্প খাবার খান। বারবার সামান্য আহার বিপাক ক্রিয়াকে সচল রাখে, বেশি ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে এবং খিদে কেন্দ্রকে চালু করতে বাধা দেয়।

৪. মূল আহারের মধ্যে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খাবেন, যা সহজে তৃপ্তি আনে। যেমন: লবণহীন বাদাম, শস্য যুক্ত ক্র্যাকার, লো ফ্যাট পনির ও দই বা ফল। মূল খাবারের আগে ক্যালরিহীন স্টার্টারও খিদে কমাতে সহায়ক, যেমন এক বাটি গরম সবজি স্যুপ।

৫. খাবারের সময় কখনো পেরিয়ে যেতে দেবেন না। এক বেলা ঠিকমতো না খেলে পরের বেলা পাগলের মতো খিদে পাবেই। খাদ্য গ্রহণের সুশৃঙ্খল ও স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি অনুসরণ করলে নিজের খিদে ও তৃপ্তি কেন্দ্রকে শাসন করা কোনো বিষয়ই নয়।

হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল।

অতিরিক্ত খাওয়া এড়ান


আপনি কি মাঝে মাঝে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন? মনে করে দেখুন তো কোথাও দাওয়াতে গিয়ে কিংবা নিজের ঘরেই অতিরিক্ত খেয়েছেন কিনা কখনো? প্রতিটি মানুষই প্রায়ই নিজের প্রয়োজনের চাইতে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন। খাবার খুব মজা হওয়ার কারণে, প্রিয়জনের অতিরিক্ত জোর করার কারণে অথবা নিজের খাওয়ার পরিমাণ নিজেই বুঝতে না পেরে প্রায়ই বেশি খাওয়া হয়ে যায় আমাদের। এছাড়াও কম্পিউটার চালাতে চালাতে অথবা টিভি দেখার সময় খেলেও অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে যায়। বেশি খেয়ে ফেললে পেটে এক ধরনের অস্বস্তি ভাব তৈরি হয়। সেই সঙ্গে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহনের ফলে মেদ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। বেশি খেয়ে ফেললে সেই খাবার হজম করতেও বেশ সমস্যা হয়। তাই খাবার পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই ভালো। জেনে নিন অতিরিক্ত খাওয়া এড়ানোর ৭টি উপায় সম্পর্কে।

১) নিজের খাওয়ার পরিমাণ ঠিক করে নিন। প্রতিদিন কোন বেলা ঠিক কতটুকু খাবেন সেটার পরিমাপ নিজেই নির্ধারণ করে নিন নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী। ধরুন সকালের নাস্তায় যদি একটি রুটি নির্ধারণ করা থাকে তাহলে একটিই খাবেন প্রতিদিন। দুপুরে এক কাপ ভাত আর বাকিটুকু সবজি খাওয়ার পরিমাপ নির্ধারণ করে নিলে প্রতিদিন একই পরিমাণ খাবেন।

২) খুব বেশি ক্ষুধার্ত অবস্থায় খাবেন না কখনই। অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগার আগেই হালকা কিছু খেয়ে নিন। অতিরিক্ত ক্ষুধার্ত অবস্থায় খেলে সহজে ক্ষুধা মেটে না এবং বেশি খাওয়া হয়ে যায়।

৩) খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি বা কয়েক টুকরো শশা খেয়ে নিন। এতে পেট অনেকটাই ভরে যাবে এবং আপনার অতিরিক্ত খাওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে। ফলে পরিমিত খাওয়া হবে আপনার।

৪) ছোট প্লেটে খাওয়ার অভ্যাস করুন। বড় ছড়ানো প্লেটে খেলে বেশি খাবার খাওয়া হয়ে যায়। একটু ছোট এবং মাঝে কিছুটা উঁচু প্লেটে কম খাওয়া নেয়া হয় এবং কম খাওয়া হয়।

৫) অনেক বেশি রকমের তরকারি দিয়ে খেলে বেশি খাওয়া হয়ে যায়। প্রোটিনের জন্য মাছ বা মাংস এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের জন্য পাঁচমেশালি সবজি রাখুন। একই সঙ্গে মাছ, মাংস, ডিম, অনেক রকমের ভর্তা, তরকারী রাখলে প্রতিটিই অল্প অল্প করে খাওয়ার জন্য বেশি ভাত খাওয়া হয়।

৬) ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস করুন। যারা দ্রুত খায় তাদের বেশি খাওয়া হয়ে যায়। তাই খাবার ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে পরিমিত খাওয়া হবে।

৭) কম্পিউটার চালানোর সময় অথবা টিভি দেখার সময় খাবেন না। খাবার টেবিলে বসে খাওয়ার অভ্যাস করুন। তাহলে অতিরিক্ত খাওয়া হবে না।

গ্যাস্ট্রিক সমস্যার ঘরোয়া সমাধান


গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা আমাদের দেশে খুবই স্বাভাবিক ব্যপার। অনেককে বছরের প্রায় সময়ই ভূগতে হয় এ সমস্যায়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর প্রতিকার হিসাবে পাওয়া যায় অনেক নামি দামি ওষুধ। কিন্তু আমাদের হাতের কাছের বিভিন্ন প্রকৃতিক জিনিস দিয়ে যদি করা যায় এর নিরাময়, তাহলে বাড়তি টাকা খরচ করার কি দরকার? তাছাড়া এসব ওষুধের আছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া । আপনার কিডনি আক্রান্ত হবে অথবা লিভার এর ক্ষতি করবে অল্প সময়ে। তারচে আসুন জেনে নেই ভেষজ নিরাময় এর উপায়।

# লং

যদি আপনি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় জর্জরিত হয়ে থাকেন, তবে লং হতে পারে আপনার সঠিক পথ্য। দুইটি লং মুখে নিয়ে চিবাতে থাকুন, যেন রসটা আপনার ভেতরে যায়। দেখবেন এসিডিটি দূর হয়ে গেছে।

# জিরা

এক চা চামচ জিরা নিয়ে ভেজে ফেলুন। এবার এটিকে এমন ভাবে গুড়া করুন যেন পাউডার না হয়ে যায়, একটু ভাঙা ভাঙা থাকে। এই গুড়াটি একগ্লাস পানিতে মিশিয়ে প্রতিবার খাবারের সময় পান করুন। দেখবেন কেমন ম্যাজিকের মতো কাজ করে।

# গুঁড়

গুঁড় আপনার বুক জ্বালাপোড়া এবং এসিডিটি থেকে মুক্তি দিতে পারে। যখন বুক জ্বালাপোড়া করবে সাথে সাথে একটুকরো গুঁড় মুখে নিয়ে রাখুন যতক্ষণ না সম্পূর্ণ গলে যায়। তবে ডায়বেটিস রোগিদের ক্ষেত্রে এটি নিষিদ্ধ।

# মাঠা

দুধ এবং মাখন দিয়ে তৈরী মাঠা একসময় আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় ছিল। এসিডিটি দূর করতে টনিকের মতো কাজ করে যদি এর সাথে সামান্য গোলমরিচ গুঁড়া যোগ করেন।

# পুদিনা পাতা

পুদিনা পাতার রস গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে বহুদিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রতিদিন পুদিনা পাতার রস বা পাতা চিবিয়ে খেলে এসিডিটি ও বদহজম থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

#ঠান্ডা দুধ

প্রতিদিন রাতে একগ্লাস দুধ ফ্রিজ এ রেখে দিন। সকালে সেই দুধ খেয়ে ফেলুন। দেখবেন গ্যাস বলতে কোন জিনিশই নেই।

#চাল

হ্যাঁ , এসব কোনটা করার সুযোগ নেই তারা প্রতিদিন ভোরে উঠেই কয়েক দানা চাল চিবিয়ে খান সঙ্গে ভরপেট পানি। দেখবেন কন্সটিপেসন এর সাথে সাথে গ্যাস এর সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান হয়ে গেছে।

ঘরে বসেই ওজন কমান


মেদবিহীন সুন্দর স্বাস্থ্যের জন্য জিমে যাওয়ার সময় নেই। এ জন্য আফসোস না করে নিজেই একটু উদ্যোগী হোন। প্রথমত বদঅভ্যাস ত্যাগ করুন। মিষ্টি ও ভাজাভুজি বাদ দিন। ভাত খান নামমাত্র। প্রতিদিন হাঁটা, সাঁতার বা ফ্রি-হ্যান্ড ব্যায়াম যেকোনো একটি বেছে নিন। আরো জানতে বিস্তারিত পড়ুন।

মোটা হওয়ার কারণ

* ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত খাওয়া। নিয়ম অনুযায়ী খাবেন।

* ক্ষুধা নেই অথচ ভালো খাবার দেখলে খেতে ইচ্ছে করে আর খান। ফলে শরীরে মেদ জমে মোটা হয়ে যান।

* শারীরিক পরিশ্রম কম করলেও ওজন বাড়ে।

* বংশগত কারণে অনেকের মোটা হওয়ার প্রবণতা থাকে। খাবার যখন পাকস্থলীতে কম থাকে, তখন জিন শরীরে ফ্যাটের স্টোরেজ বাড়িয়ে দেয়। এরপর খাবার বেশি খেলে এবং শক্তি ক্ষয় কম হলে ওজন বেড়ে যায়

ওজন কমানোর উপায়

ওজন কমানোর প্রাকৃতিক উপায় হলো এমন ডায়েট মেনে চলা, যাতে বেশি পরিমাণে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার থাকে। মাঝারি পরিমাণে প্রোটিন এবং কম পরিমাণে ফ্যাট থাকে। ডায়েট টিপস

* আলু, কুমড়া, কাঁচকলা খাবেন না।

* ডুবো তেলে ভাজা কিছু খাবেন না।

* এনার্জি ড্রিংকস, হেলথ ড্রিংকস, সফট ড্রিংকস খাবেন না।

* চিনি একেবারেই খাবেন না।

* গরু, খাসির মাংস ও চিংড়ি মাছ মোটেই খাবেন না।

* খাদ্যাভ্যাস ও বাজেটের ওপর ভিত্তি করে ডায়েট চার্ট তৈরি করে নিন

* কোন ধরনের কাজের সঙ্গে আপনি যুক্ত তার ওপর নির্ভর করবে আপনার ডায়েট চার্ট

* খাদ্যতালিকায় ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যাতে যথেষ্ট পরিমাণে থাকে সেদিকে লক্ষ রাখুন।

* প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে ফল, শাকসবজি ও পানি পান করুন।

অসময়ে খিদে পেলে

দুপুর ও রাতের খাবারের মাঝামাঝি সময়ে খুব খিদে পেলে শুকনো রুটি বা টোস্ট বিস্কুট খান। ফল, সবজি বা এক বাটি মুড়ি খেতে পারেন। বেশি রাতে কার্বোহাইড্রেট-জাতীয় খাবার কম খাবেন।

বাড়িতেই ব্যায়াম

* বাড়িতে কিছু ফ্রি-হ্যান্ড ব্যায়াম করুন। সময় একেবারেই কম লাগে। অথচ আপনি ফিট থাকতে পারবেন এবং অতিরিক্ত মেদ শরীরে জমা হবে না।

* বাড়িতে যত সময় অবস্থান করবেন সে সময় শুয়ে-বসে না থেকে হাঁটাচলা করুন। আপনার বাড়িতে লিফট থাকলেও দৈনিক কয়েকবার সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করুন। আরো ভালো হয় যদি হালকা জিনিসপত্র বহন করা যায়। এতে মাসল টোনড হবে।

* বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেচিং ব্যায়াম, যেমন- আর্ম স্ট্রেচিং বা লেগ লিফটিং করতে পারেন। রক্তসঞ্চালন ভালো হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশের মেদ কমে যাবে।

* হার্ট সুস্থ রাখার জন্য জগিং খুব ভালো ব্যায়াম। বাড়ির যেকোনো জায়গায় আপনি স্পট জগিং করতে পারেন। এ সময় উপযুক্ত জুতা পরবেন, যাতে পায়ের ওপর স্ট্রেস না পড়ে।

* দুই হাত সোজা করে ওপরের দিকে রাখুন। পায়ের পাতার ওপর ভর দিয়ে যতটা পারেন লাফান। কোনো বিরতি ছাড়া এভাবে এক মিনিট লাফান। এক মিনিট ব্রেক দিয়ে দিয়ে দুই থেকে তিনবার রিপিট করুন।

*পেটের মাসলের স্ট্রেংথ বাড়ানোর জন্য সিট-আপস জাতীয় ব্যায়াম করতে পারেন। মাটিতে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুই হাঁটু ভাঁজ করুন। ডান হাত বা কাঁধের ওপর এবং বা হাত ডান কাঁধের ওপর রাখুন। এরপর আস্তে আস্তে শরীরের ওপরের অংশ মাটি থেকে তোলার চেষ্টা করুন। মাঝামাঝি অবস্থানে যেতে কয়েক সেকেন্ড থাকুন। পরে ক্রমেই শোয়া অবস্থায় ফিরে যান। শুরুতে তিন থেকে পাঁচবার করলেই যথেষ্ট।

সতর্কতা

*কোমলপানীয় একেবারেই খাবেন না। কোল্ড ড্রিংকস মোটা হওয়ার আশঙ্কা ৬০ ভাগ বাড়িয়ে দেয়।

* রাতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

* বারবার অল্প করে খাবেন। দুপুর ও রাতে অবশ্যই কম খাবেন।

সানন্দা: ওজন কমান সুন্দর থাকুন

সানন্দা: ওজন কমান সুন্দর থাকুন: এমন অনেকেই আছেন যারা কিছু না খেয়ে ওজন কমানো তে নারাজ। আবার এমন অনেকেই আছেন যারা কিছু খাওয়ার বা না খাওয়ার তোয়াক্কা করেন না অথচ ওজন টাও কমাত...

ওজন কমান সুন্দর থাকুন


এমন অনেকেই আছেন যারা কিছু না খেয়ে ওজন কমানো তে নারাজ। আবার এমন অনেকেই আছেন যারা কিছু খাওয়ার বা না খাওয়ার তোয়াক্কা করেন না অথচ ওজন টাও কমাতে চান। যারা খেতে পছন্দ করেন খান, আয়েস করে কবজি ডুবিয়েই খান। তার পরও ওজন কমবে । কিভাবে?! জানাচ্ছি কিছু অসাধারন রহস্য...। আপেল ভিনেগার। জি হ্যাঁ। এতাই একমাত্র সমাধান। জেনে নিন কোথায় পাবেন, কখন আর কিভাবে খাবেন।

কোথায় পাবেন?

আপনার নিকটস্থ যে কোন শপিং মল এ। যারা বড় শহর গুলোর বাইরে থাকেন তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই পরিচিত দের সাহায্যে আনিয়ে নিন মাত্র ৩০০ টাকা মূল্যের এক্তি বোতল।

কখন এবং কিভাবে খাবেন?

২ চামচ আপেল ভিনেগার এর সাথে ১৬ আউন্স পানি মিশিয়ে সারা দিন ভর একটু একটু করে পান করুন। এর মধ্যে থাকা এসিটিক এসিড আপনার শরিরের মেদ পুড়িয়ে ফেলবে। আপনার লিভার কে দেবে সচলতা। এটি আপনার সাইনাস আর ঠান্ডার এলারজি কে দূরে ঠেলে দেবে।

আপেল ভিনেগার এর আরো ব্যবহার।

ঝকঝকে চুল

একটি বোতলে ২ টেবিল চামচ আপেল ভিনেগার আর এক কাপ ঠান্ডা পানি একত্রে মিশিয়ে শ্যাম্পু করার পরে ভাল করে চুল ধুয়ে এই মিশ্রণটি মিশিয়ে নিন। কন্ডিশনার ছাড়াই চুল হবে সিল্কি। একটা নাটকীয় পরিবর্তনের জন্য কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করুন। বাজি ধরে বলতে পারি এই প্রাকৃতিক কন্ডিশনার আপনার মন কেড়ে নেবে।

চকচকে ত্বক

২ চামচ আপেল ভিনেগার এর সাথে সমপরিমান পানি মিশিয়ে সুতি কাপড় বা তুলার সাহায্যে মুখ মুছে ফেলুন। ঘুমের আগে বা সকালে প্রতিদিন বাবহারে ত্বক হবে উজ্বল চকচকে। রাতে ঘুমানোর আগে প্রতিদিন মুখে শুধু আপেল ভিনেগার এর প্রলেপ দিয়ে ঘুমান। এটি আপনার ত্বক এ রিঙ্কেল এর প্রভাব পড়তে দেবে না। বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে।

উজ্বল সাদা দাঁত

টুথপেস্ট এর সাথে এক্টু আপেল ভিনেগার মিশিয়ে ব্রাশ করুন প্রতিদিন। দাঁত হবে উজ্বল ও ঝকঝকে। মাত্র এক সপ্তাহ ব্যবহার করেই ফল পাবেন হাতেনাতে।

রোদে পোড়া ত্বক

রোদে পুড়েত্বক হয়ে যায় বিবর্ণ। কালো কালো ছোপ এ ভরে যায় মুখের ত্বক। পার্লার এ গেলেই বলবে সান বার্ন ট্রিটমেন্ট করাতে। ব্যয় বহুল তাতে সন্দেহ নেই। ঘরেই সেরে ফেলুন না এই দুষ্কর্ম টি। এক কাপ আপেল ভিনেগার এর সাথে ১/২ কাপ পানি মিশিয়ে পর পর তিন দিন মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে আলতো হাতে ধুয়ে নিন। দেখবেন কালো ছোপ উধাও।

সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গেলে হাল্কা বুকের ব্যাথা বা জোরে হাঁটার সময় ব্যাথা কে আমরা সহজেই উপেক্ষা করি। অথচ অনেই জানেনা এই ব্যাথাই হল হার্ট এর ছোট ছোট ব্লক। এবার আপনাকে জানাচ্ছি একটি সহজ মিক্সসচার এর কথা যা আপনার এই ছোট্ট সমস্যা কে সমাধান করে দেবে সহজেই। এমনকি ছোট খাট ব্লক কে ছাড়িয়ে রক্ত সঞ্চালন করবে দ্রুততম। (রেসিও টি ফেসবুক এর একজন ডক্টর এর পোস্ট থেকে নেয়া)

১ কাপ লেবুর রস

১ কাপ আদার রস

১ কাপ রসুনের রস

১ কাপ আপেল ভিনেগার

একসাথে জ্বাল দিন। ২ কাপ পরিমান ঘন হয়ে এলে ঠান্ডা করুন।এতে ৩ কাপ মধু মিশিয়ে ভাল করে ঝাঁকান। এবার এটি ফ্রিজ এ রেখে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক টেবিল চামচ করে খান। এতে এসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিছুদিন পরে এটি এম্নিতেই চলে যাবে। যদি বেশি সমস্যা হয় গ্যাসের অসুধ খেতে পারেন।

ক্যালরি পোড়ান, সচল থাকুন


সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিনিয়তই ছুটে চলেছি আমরা। পারিবারিক দায়িত্ব, অফিসে কাজের চাপ, মানসিক অবসাদ—সব মিলেই শহুরে জীবন। এত ডামাডোলের ভিড়ে হয়তো এরই মধ্যে গাড়ি-বাড়ি, টেলিভিশন সেটসহ আধুনিক প্রযুক্তির নানাবিধ সুবিধা অর্জন করে ফেলেছেন আপনি; যা আপনার জীবনকে করে তুলেছে আরও সহজ।

তবে একবারও ভেবে দেখেছেন কি, এসব প্রযুক্তি কতটা নিষ্ক্রিয় করে তুলেছে আমাদের? এর ফলে শরীরে বাসা বাঁধছে হরেক রকমের রোগ। মুম্বাইয়ের পুষ্টিবিদ সুমন আগারওয়ালের মতে, ‘আমরা যদি আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে সচেতনভাবে সক্রিয় না হই, তবে স্থূলতা, অসুস্থতা, মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়া-সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগতে হবে।’ প্রাত্যহিক জীবনে সক্রিয় থাকার উপায় হিসেবে টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো:

১. লিফট বা চলন্ত সিঁড়ির বদলে সিঁড়ি বেয়ে উঠুন।

২. বন্ধুদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার সময় বসে না থেকে পায়চারি করুন।

৩. বিকেলে টেলিভিশন দেখে বা অলস সময় না কাটিয়ে বাড়ির কাছের পার্ক থেকে একটু হেঁটে আসুন।

৪. আপনার প্রতিদিনের কার্যতালিকায় সাঁতার, হাঁটা, জগিং, সাইকেল চালানো বা ক্রিকেট বা টেনিস ইত্যাদি খেলার জন্য সময় বের করুন।

৫. ছুটির দিনগুলোতে ঘরে বসে না থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘরের বাইরে নানা ধরনের খেলাধুলায় মেতে উঠুন।

Chicken Korma Special


Make a chicken Korma and prove yourself the best of it…. Make people nostalgic…. To make this delicious dish you need

#chicken 1.5kg

#card/yogurt 350gm

#ginger paste1 ½ tbs

# garlic paste 2 tbs

#cumin paste 1 ½ tbs

#lemon juice ½ cup

#onion beresta(fried) 1 cup

# Chinese Almond paste 2tbs

# Pistachio paste 1 ½ tbs

# Fried Raisin paste 1tbs

#salt

#green chili

#oil

# chili powder

#cinnamon and cardamom powder

Step 1: cut your chicken into 16 pieces, wash it properly and marinade it with cumin, ginger, garlic, lemon juice and yogurt for 30 minutes.

Step 2: take one cup oil into your pan and put the chicken in it marinade it for 2-3 minutes and put the pan on burner.

Step 3: put your burner on medium mode. Stir it gently. Add ½ onion barista when it giving up water. Add cinnamon and cardamom powder, 1 tbs chili powder and stir it properly. When it becoming dry add all nut paste in it. Stir it until fry. Add 1 cup water and stir 3-4 minute.You have to stir randomly otherwise it will burnt.

Step 4: Before the end add green chili and rest barista. Add tomato sauce If you want.


চিকেন চারগা

উপকরণ: বড় আস্ত মুরগি চামড়া ছাড়ানো একটি, আলু বোখারা ১০০ গ্রাম, ডিম ১টা, লেবুর রস ১০০ গ্রাম, টক দই ১০০ গ্রাম, মরিচের গুঁড়া ২৫ গ্রাম, আদা বাটা ২০ গ্রাম, রসুন বাটা ১৫ গ্রাম, তেল ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: মুরগি পরিষ্কার করে নিন। এরপর ছুরি দিয়ে চিকন চিকন করে কেচে নিন। এবার তেল বাদে সবকিছু একত্রে মিশিয়ে নিন। এবার মাখানো মসলা মুরগিতে ভালো করে মেখে ২০-২৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর কড়াইতে তেল দিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নামিয়ে নিন। নানরুটি বা পরোটা দিয়ে পরিবেশন করুন।

Food For Men


অনেক পুরুষই বেশির ভাগ সময় খাবারের বিষয়ে উদাসীন থাকেন। অনেকটা যা জোটে তাই খাওয়ার মতো ব্যাপার যেন। কিন্তু কিছু খাবার যেমন সবার জন্যই স্বাস্থ্যকর, তেমনি শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষ এবং বৃদ্ধ প্রত্যেকের জন্যই আলাদাভাবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু খাবারও রয়েছে। যে খাবারগুলো বয়স ও লিঙ্গ ভেদে যার যার জন্য উপকারী। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের জন্য তেমন কিছু উপকারী খাবারের কথা জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

টমেটো

অনেক ধরনের উপকারী গুণাগুণের জন্য টমেটোকে অনেকেই ‘সুপার ফুড’ বলেন। এতে আছে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির উপাদান লাইসোপিন। এটা কোলেকটরাল ক্যানসার, প্রোস্টেট ক্যানসার, হূদরোগ এবং নিম্ন-কোলস্টেরলের বিষয়ে বিশেষভাবে উপকারী। আর এসব বিষয়ের অসুস্থতাই পুরুষদের মধ্যে খুবই সাধারণ।

ঝিনুক বা শুক্তির দস্তা

ঝিনুকে উচ্চমাত্রায় দস্তা আছে। এ উপাদানটি পুরুষের উর্বরতা এবং যৌন স্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। টেস্টাটেরন হরমোনের প্রয়োজনীয় মাত্রা বজায় রাখতে এবং স্বাস্থ্যবান বীর্য-উত্পাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে দস্তা। ঝিনুকের দস্তা চুলের জন্যও উপকারী।

দানাদার শস্য

দানাদার শস্যে উচ্চমাত্রার ভিটামিন, খনিজ উপাদান এবং আঁঁশ আছে। ওট বা জইয়ের দানা এবং বাদামি চালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-বি আছে। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এই ভিটামিন-বি ‘ডিপ্রেশন’ বা ‘বিষণ্নতা’ কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের শস্যে প্রাপ্ত ‘ফোলেট’ বীর্যকে স্বাস্থ্যবান রাখতে সহায়তা করে এবং ‘বায়োটিন’ চুল পড়া রোধে ভূমিকা রাখে।

রশুন

হূিপণ্ডের সুরক্ষায় এবং হূদরোগ প্রতিরোধে রশুনের উপকারের কথা সবাই জানেন। শুধু তা-ই নয়, কোলস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রাখতেও সাহায্য করে রশুন। গবেষকেরা বলছেন, যে পুরুষেরা নিয়মিত রশুন খান তাঁদের শরীরে কোলস্টেরলের মাত্রা কম থাকে।

স্যামন মাছ

স্যামন এবং এ-জাতীয় মাছ কেবল প্রোটিনের ভালো উত্সই নয়, এতে আছে ‘ওমেগা-৩’ নামের ফ্যাটি অ্যাসিড যা বাজে ধরনের কম মাত্রার কোলস্টেরলের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটা হূদরোগ, কোলেকটরাল ক্যানসার, প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি ও বিষণ্নতা কমাতে সাহায্য করে।

ব্লুবেরি

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ব্লুবেরিতে উচ্চমাত্রার ‘প্রো-অ্যানথোসাইনিডিন’ আছে, যা প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বয়সজনিত স্মৃতিভ্রষ্টতা, টাইপ-টু ডায়াবেটিস ও হূদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে এই ফল।

ফুলকপি

বাঁধাকপির মতো ফুলকপিতেও ক্যানসার প্রতিরোধী রাসায়নিক ‘সালফোরাফেন’ আছে। বলা হয়ে থাকে পুরুষের মূত্রাশয়ের ক্যানসার, প্রোস্টেট ক্যানসার ও কোলেকটরাল ক্যানসার হওয়া রোধ করতে সহায়তা করে থাকে।

ডিম

চুল পড়ে যাচ্ছে? নিশ্চিত হন যে আপনার খাদ্যতালিকায় ডিম আছে। চুলের বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন আছে ডিমে। আর ডিমের কুসুম লৌহের খুবই ভালো উত্স।

ডালিমের রস

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন সমৃদ্ধ ডালিমের রস কোলস্টেরলের মাত্রা কমায়, উচ্চ রক্তচাপ রোধ করে। কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন পরিমিত মাত্রায় ডালিমের রস পানে পুরুষের প্রোস্টেট ক্যানসারের বৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে।

আরামের আপ্যায়ন


চড়া রোদের দুপুরে ভাতের সঙ্গে মন চাইছে সবজি বা ডাল খেতে। মাছ-মাংসের বাইরেও এসব দিয়েই হতে পারে দারুণ আপ্যায়ন। দেখে নিন রেসিপিগুলো।

ইঁচড়ের কোফতা

উপকরণ: কোফতার জন্য—লবণ ও হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করা ইঁচড় ৫০০ গ্রাম, আদা ঝুরি ১ টেবিল চামচ, বেসন ২ টেবিল চামচ, গরম মসলার গুঁড়া সিকি চা-চামচ, কিশমিশ (প্রতিটি কোফতার জন্য) ২টি করে, পরিমাণমতো, তেল পরিমাণমতো, কাঁচা মরিচ কুচি ৪টি, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ। গ্রেভির জন্য—গরম মসলার গুঁড়া আধা চা-চামচ, আদা ঝুরি ১ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, লাল মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, টমেটো বাটা ১ কাপ, টমেটো কুচি ১টি, হুলুদ গুঁড়া সিকি চা-চামচ, লবণ সিকি চা-চামচ বা স্বাদ অনুযায়ী, চিনি আধা চা-চামচ, লেবুর রস ২ চা-চামচ। প্রণালি: ইঁচড় লবণ হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে মসৃণ করে বেটে নিন। বাটিতে তেল, কিশমিশ, আদা ঝুরি, লেবুর রস ও সিকি চামচ লবণ বাদে অন্য সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে মেখে নিন। অন্য পাত্রে আদা ঝুরি, সিকি চা-চামচ, লবণ, লেবুর রস ও কিশমিশ মিশিয়ে পুর বানিয়ে রাখুন। এবার ইঁচড়ের মিশ্রণ ১৪-১৫টি ভাগ করুন। একেকটি ভাগ হাতের তালুতে নিয়ে মাঝখানে হাঁড়ির মতো গর্ত করে নিন। তাতে কিশমিশ ও আদা ঝুরির পুর ভরে দিয়ে গোল করে কোফতার আকৃতি করুন। কড়াইয়ে গরম ডুবো তেলে কোফতাগুলো লাল করে ভেজে উঠিয়ে পরিবেশন পাত্রে সাজিয়ে নিন। ফ্রাইপ্যানে ১ টেবিল চামচ সরিষার তেল গরম করে তাতে আদা ঝুরির ফোড়ন দিন। বাদামি করে ভেজে লেবুর রস ও গরম মসলার গুঁড়া বাদে অন্য সব উপকরণ দিয়ে কশিয়ে নিন। এবারে ১ কাপ পানি দিয়ে নাড়ুন। ফুটে ঘন হয়ে এলে লেবুর রস দিয়ে নেড়ে মসলার মিশ্রণ কোফতার ওপর ঢেলে ওপর থেকে গরম মসলার গুঁড়া ছিটিয়ে দিন। মসলার মিশ্রণ কোফতার ওপর ঢেলে দেওয়ার পর সেটা কোফতাগুলো শুষে নেবে। কাজেই খাওয়ার সময় গ্রেভি না দেখলে ঘাবড়ে যাবেন না।

কাঁচা আমের অম্বল

উপকরণ: কাঁচা আম ২০০ গ্রাম (৩টি), লবণ স্বাদমতো, হলুদগুঁড়া সিকি চা-চামচ, শুকনা মরিচ ২টি, তেজপাতা ১টি সরিষা বাটা আধা চা-চামচ, গোটা সরিষা সিকি চা-চামচ, পানি ৬ কাপ, শুকনা মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, গুড় বা চিনি ২ টেবিল-চামচ, সরিষার তেল ১ টেবিল-চামচ। প্রণালি: আম ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে বের করে টুকরো করে কেটে পানিতে রাখুন। কড়াইয়ে তেল গরম করে শুকনা মরিচ, তেজপাতা এবং গোটা সরিষার ফোড়ন দিন। আমের পানি ঝরিয়ে ফোড়নে দিয়ে নেড়ে নিন। এতে হলুদ ও লাল মরিচের গুঁড়া দিয়ে সামান্য পানি এবং সরিষা বাটা দিয়ে কষিয়ে নিন। লবণ এবং চিনি বা গুড় দিয়ে নাড়ুন। কষানো হয়ে গেলে ৬ কাপ পানি দিয়ে নেড়ে আঁচ বাড়িয়ে দিন। পানি কমে ৪ কাপ মতো হলে আঁচ কমিয়ে পাঁচ মিনিট পর চুলা বন্ধ করে দিন।

মজাদার মাছ


এই গরমে মাংস রুচছে না অনেকেরই। তাই বলে কি আয়োজন করে খাওয়া-দাওয়া হবে না? মাছ দিয়েও তো হতে পারে কত রকম বাহারি পদ। দেখুন সিতারা ফিরদৌসের দেওয়া রেসিপিগুলো।

আস্ত তেলাপিয়া ভাজি

উপকরণ: গোটা তেলাপিয়া মাছ মাঝারি একটি, ফিশ সস ২ টেবিল-চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল-চামচ, আদাবাটা আধা চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, কাঁচামরিচ ৫-৬টি, টমেটো সস সিকি কাপ, ধনেপাতাকুচি ১ টেবিল-চামচ, তেল পৌনে দুই কাপ। প্রণালি: মাছ পরিষ্কার করে ছুরি দিয়ে দুই পাশ থেকে চিরে নিয়ে মাছের গায়ে দাগ কেটে রাখতে হবে। ফিশ সস, লেবুর রস, সামান্য হলুদ, লবণ একসঙ্গে মিলিয়ে মাছের দুই পাশে ও পেটের ভেতর ভালো করে লাগিয়ে ২৫-৩০ মিনিট ম্যারিনেট করে রাখতে হবে। দেড় কাপ তেল গরম করে মাছ বাদামি রং করে ভেজে তেল থেকে মাছ উঠিয়ে পরিবেশন পাত্রে রাখতে হবে। সিকি কাপ তেল গরম করে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা কষিয়ে লবণ, টমেটো সস, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতাকুচি দিয়ে কিছুক্ষণ ভুনে মাছের ওপর ঢেলে দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।

মুড়িঘণ্ট

উপকরণ: বড় রুই মাছের মাথা ১টি, পেঁয়াজকুচি সিকি কাপ, পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল-চামচ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, গোলমরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, কারি পাউডার ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৬-৭টি, আদা মিহি কুচি ১ চা-চামচ, দারুচিনি ২ টুকরা, লবঙ্গ ২টি, এলাচি ৪টি, স্টার অ্যানিস ২টি, তেজপাতা ২টি, আলু ছোট টুকরা আধা কাপ, পোলাও চাল সিকি কাপ, ভাজা মুগডাল ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, চিনি ১ চা-চামচ, ঘি ৩ টেবিল-চামচ, তেল ৪ টেবিল-চামচ। প্রণালি: চাল, ডাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। মাছের মাথা ছোট টুকরা করে মাছের অংশ ও মুড়ো আলাদা করে রাখতে হবে। তেল গরম করে আদা ও পেঁয়াজকুচি ভেজে সব বাটা মসলা ও গুঁড়া মসলা কষিয়ে নিতে হবে। এতে আলু, চাল, ডাল ভেজে, মাছের অংশ রেখে মুড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে ডুবো পানি দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। এই সময় লবণ, তেজপাতা বাকি গরম মসলা দিতে হবে। মাছের মুড়ো সেদ্ধ হলে হাতা বা খুন্তি দিয়ে মুড়ো ভেঙে দিতে হবে। বাকি কাটা মাছে সামান্য লবণ হলুদ মাখিয়ে অল্প তেলে ভেজে নিতে হবে। ঘণ্টের মধ্যে মাছ দিয়ে ঢেকে মৃদু আঁচে রান্না করতে হবে। ঝোল কমে এলে চিনি, কারি পাউডার, কাঁচা মরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামাতে হবে। ঘি গরম করে ২ টেবিল-চামচ পেঁয়াজকুচি, ১ চা-চামচ আদাকুচি ও ২ টুকরা দারুচিনি দিয়ে বাদামি রং করে ভেজে মুড়িঘণ্টর ওপর ঢেলে দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রেখে পরিবেশন করতে হবে।

আনারস ইলিশ

উপকরণ: মাঝারি ইলিশ মাছ ১টি, মাঝারি আনারস ১টি, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল-চামচ, আদাবাটা আধা চা-চামচ, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, সয়াবিন তেল পৌনে এক কাপ, নারকেল দুধ ২ কাপ, লবণ স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি। প্রণালি: মাছ বড় টুকরো করে কেটে হলুদ মাখিয়ে কিছুক্ষণ রাখতে হবে। আনারস সবজি কুরানি দিয়ে কুরিয়ে নিতে হবে। গরম তেলে পেঁয়াজকুচি ঘিয়ে রং করে ভেজে, সব বাটা ও গুঁড়া মসলা কষিয়ে নিতে হবে। এবার আনারস দিয়ে কিছুক্ষণ ভুনে নারকেলের দুধ দিতে হবে। ফুটে উঠলে মাছ ও লবণ দিতে হবে, আনারস টক হলে স্বাদমতো চিনি দিতে হবে। ঝোল কমে তেলের ওপর এলে কাঁচা মরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামাতে হবে।

নারকেলের দুধে কই

উপকরণ: বড় কই মাছ ৬টি, নারকেলের দুধ দেড় কাপ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল-চামচ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ১ কাপ, টমেটো সস ২ টেবিল-চামচ, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল-চামচ। নারকেলের দুধে কইপ্রণালি: মাছ পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে হলুদ, লবণ মাখিয়ে গরম তেলে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলে পেঁয়াজ ঘিয়ে রং করে ভেজে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। এবার লবণ, টমেটো সস ও মাছ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নারকেলের দুধ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ঝোল কমে তেলের ওপর এলে কাঁচা মরিচ, ধনেপাতাকুচি দিয়ে নামাতে হবে।

রুই মাছের দোপেঁয়াজা

উপকরণ: বড় রুই মাছ টুকরা করে কাটা ৬০০ গ্রাম, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, গোলমরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টি, টমেটোকুচি সিকি কাপ, লবণ স্বাদমতো, টমেটো সস ২ টেবিল-চামচ, তেল পৌনে এক কাপ, সিরকা ১ টেবিল-চামচ। প্রণালি: মাছ ধুয়ে সামান্য হলুদ, সিরকা, লবণ মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে গরম তেলে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলে পেঁয়াজ ঘিয়ে রং করে ভেজে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা কষিয়ে লবণ, টমেটো দিয়ে ভুনতে হবে। টমেটো সস, মাছ, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা দিয়ে অল্প জ্বালে ৮-১০ মিনিট চুলায় রেখে নামাতে হবে।

গরমে খান প্রশান্তিদায়ক খাবার


গরম যেন কমছেই না। ঘরে-বাইরে পরিশ্রান্ত সবাই। এ সময় খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে থাকতে হবে সচেতন। গরমে গুরুপাক খাবার খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে। আবার প্রচুর ঘাম হওয়ার কারণে শরীর হারায় প্রয়োজনীয় পানি ও লবণ। সতর্ক থাকতে হবে সে ব্যাপারেও। গরমে কেমন হওয়া উচিত খাদ্যাভ্যাস? এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা শামসুন্নাহার নাহিদ। তিনি বলেন, এ সময় সহজে পরিপাক হয়, এমন খাবার খাওয়া উচিত। আর অবশ্যই প্রচুর পানি পান করতে হবে। তাঁর আরও কিছু পরামর্শ দেখে নিন।

নাশতা-পানি সমাচার

সকালে রুটি বা পাউরুটি খাওয়া যেতে পারে। রুটির সঙ্গে সবজি আর ডিম খেতে পারেন। তবে কড়া করে ভাজা ডিম এই গরমে ক্ষতিকর হতে পারে। ডিম খেলে আবার কারও কারও হজমে সমস্যা হয়। তাই যাঁরা আগে প্রতিদিন দুটি করে ডিম খেতেন, তাঁরা একটি করে ডিম খেতে পারেন। আর শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের হজমে সমস্যা হলে এক দিন পর পর একটি করে ডিম খেতে দেওয়া যায়।

বেলা ১১টার দিকে তাজা ফলের রস, সালাদ, রাইতা বা লাচ্ছি খেতে পারেন। তবে দিনের যে সময়ই সালাদ খেতে চান, তা তৈরি করতে পারেন দই বা টকদই দিয়ে। মেয়োনেজ বা এ ধরনের তৈলাক্ত সালাদের ড্রেসিং এড়িয়ে চলুন।

বিকেলের নাশতা সারতে পারেন দুধের তৈরি কোনো খাবার দিয়ে। ফলের রসও পান করতে পারেন এর পরিবর্তে। চলতে পারে স্যুপ বা নুডলস। তবে নুডলস একদম ভাজা ভাজা না করে একটু ঝোলের মতো রাখুন।

পেঁয়াজু, পুরি, বার্গার, পিজ্জা ও যেকোনো ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করা উচিত। বাইরের ফুচকা, চটপটি বা এ-জাতীয় খাবারে সাবধান, কারণ, এসব খাবারের মাধ্যমে জন্ডিস, টাইফয়েডের মতো অসুখ ছড়াতে পারে।

দুপুর ও রাতের খাবার

দুপুর ও রাতে খেতে পারেন ভাত। আবার চাইলে খেতে পারেন পাউরুটিও। ভাতের সঙ্গে রাখুন পাতলা ডাল। টক ফল দিয়ে টকডাল রান্না করতে পারেন। •মাংসের চেয়ে মাছ খাওয়াই বেশি ভালো। যে তরকারিই খান না কেন, তা পাতলা ঝোল করে রান্না করুন। ভাজাপোড়া ও ভুনা খাবার এড়িয়ে চলুন। আর মাংস খেলে বেছে নিন মুরগির মাংস। অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করুন।

সারা দিন পানি ও ফল

একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন গড়ে তিন লিটারের বেশি পানি পান করা উচিত।

ফোটানো বা ফিলটার করা পানি পান করুন।

 পানি ছাড়াও বিভিন্ন পানীয় শরীরের জন্য বেশ উপকারী। লেবু পানি, চিনির শরবত, ডাবের পানি ও বিভিন্ন ফলের রস পান করতে পারেন। তবে রাসায়নিকযুক্ত পানীয় ও কোমল পানীয় না খাওয়াই ভালো।

তরমুজ, বাঙ্গি, আনারস, নাশপাতিসহ বিভিন্ন পানিজাতীয় ফল খান।

এই সময়ে নিমন্ত্রণ

গুরুপাক খাবার ছাড়াও আনা যায় বৈচিত্র্য। শুরুতে হালকা কোনো স্যুপ পরিবেশন করতে পারেন। ক্লিয়ার স্যুপ, সবজির স্যুপ বা মুরগির স্যুপ দিতে পারেন। তবে থাই স্যুপ তৈরি করলে তাতে মাখন বা

এ-জাতীয় কিছু না দেবেন না।

পোলাও রান্না করতে ঘিয়ের পরিবর্তে সয়াবিন তেল ব্যবহার করতে পারেন।

মাছভাজা করতে চাইলে সাধারণ তেলে মাছ ভাজুন। ডালডা বা এ-জাতীয় কিছু দিয়ে মাছ ভাজবেন না, আবার খুব কড়া করেও ভাজবেন না।

মুরগির মাংসের বিভিন্ন পদ তৈরি করতে পারেন।

গরু, খাসি বা হাঁসের মাংস রান্না না করাই ভালো। মাংস রান্না করলেও অবশ্যই চর্বি ফেলে দিয়ে রান্না করবেন।

খাবারের শেষে দই, দইয়ের লাচ্ছি অথবা বোরহানি দিতে পারেন অতিথিকে। তবে পারলে সেসব ঘরেই বানান৷

বাইরে থেকে কিনে আনা মিষ্টির পরিবর্তে দিতে পারেন ঘরে তৈরি মিষ্টি। তবে ঘরে মিষ্টি তৈরি করলেও তাতে ঘি ব্যবহার করবেন না।

ফলের রসও দিতে পারেন অতিথিকে।