নিজের ঘরকে শান্তিময় করে তোলার ৯টি উপায় কেমন হতো যদি ঘরে ঢুকলেই মনের সব দুঃখ কষ্ট নিমিষেই দূর হয়ে যেতো। ঘরের যেদিকেই তাকাতেন সেদিকেই শুধু মন ভালো করে দেয়ার মত জিনিসপত্র থাকতো! পুরোই যেন স্বপ্নের বাড়ি তাই না? এমন একটা বাড়ির স্বপ্ন সবারই থাকে। খুব সহজেই আপনার বাড়িটিকেও সাজিয়ে নিতে পারবেন এভাবে। জানতে চান কীভাবে? জেনে নিন কিছু সহজ উপায়। ১) ঘরের দেয়ালের রং হিসেবে ব্যবহার করুন সাদা, হালকা গোলাপি, হালকা টিয়া রঙ অথবা উজ্জ্বল হলুদ। এই রঙ গুলো মনে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। ফলে ঘরের দেয়ালে তাকালে মন ভালো হয়ে যায়। ২) ঘরের দেয়ালে খুব বেশি কিছু ঝোলাবেন না। যত খালি রাখা যায় ততই ছিমছাম দেখাবে দেয়াল। আর ছিমছাম দেয়াল মনকে প্রশান্ত রাখতে সহায়তা করে। ৩) ঘরের যেকোনো এক দেয়ালে বড় একটি আয়না লাগিয়ে দিন। এতে নিজেকে নিজের কাছে হাজিরা দিতে হবে বার বার। আর নিজেকে গোমরা মুখে দেখতে নিশ্চয়ই কারোরই ভালো লাগে না তাইনা? ৪) ঘরের কোনো আসবাব যেন ভারী, জমকালো ও গাঢ় রঙের না হয় সেই বিষয়ে খেয়াল রাখুন। ৫) ঘরের পর্দা, কুশন, বিছানার চাদর কিংবা সোফা কোনো কিছুতেই কালো রঙ ব্যবহার করবেন না। কালো রঙ মনকে বিষণ্ণ করে দেয়। ৬) ঘরের পেইন্টিং নির্বাচনের ক্ষেত্রে উজ্জ্বল, ইতিবাচক বিষয় নির্বাচন করুন। ৭) ঘরের ভেতরে কিছু সবুজ গাছপালা রাখুন। সবুজ গাছপালা মনকে সতেজ রাখে এবং মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ৮) বেডরুমে সুগন্ধি ফুল রাখুন। এতে ঘুম ভালো হবে এবং মন থেকে নেতিবাচক প্রভাব দূর হয়ে যাবে। ৯) ঘরে প্রচুর আলোবাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন। রাতেও ঘরকে আলোআঁধারিতে রাখবেন না। উজ্জ্বল আলো জ্বালিয়ে রাখুন। শুধু ঘুমাতে যাওয়ার আগে আলো নিভিয়ে দিন.
please find this
Wednesday, 21 May 2014
নিজের ঘরকে শান্তিময় করে তোলার ৯টি উপায় কেমন হতো যদি ঘরে ঢুকলেই মনের সব দুঃখ কষ্ট নিমিষেই দূর হয়ে যেতো। ঘরের যেদিকেই তাকাতেন সেদিকেই শুধু মন ভালো করে দেয়ার মত জিনিসপত্র থাকতো! পুরোই যেন স্বপ্নের বাড়ি তাই না? এমন একটা বাড়ির স্বপ্ন সবারই থাকে। খুব সহজেই আপনার বাড়িটিকেও সাজিয়ে নিতে পারবেন এভাবে। জানতে চান কীভাবে? জেনে নিন কিছু সহজ উপায়। ১) ঘরের দেয়ালের রং হিসেবে ব্যবহার করুন সাদা, হালকা গোলাপি, হালকা টিয়া রঙ অথবা উজ্জ্বল হলুদ। এই রঙ গুলো মনে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। ফলে ঘরের দেয়ালে তাকালে মন ভালো হয়ে যায়। ২) ঘরের দেয়ালে খুব বেশি কিছু ঝোলাবেন না। যত খালি রাখা যায় ততই ছিমছাম দেখাবে দেয়াল। আর ছিমছাম দেয়াল মনকে প্রশান্ত রাখতে সহায়তা করে। ৩) ঘরের যেকোনো এক দেয়ালে বড় একটি আয়না লাগিয়ে দিন। এতে নিজেকে নিজের কাছে হাজিরা দিতে হবে বার বার। আর নিজেকে গোমরা মুখে দেখতে নিশ্চয়ই কারোরই ভালো লাগে না তাইনা? ৪) ঘরের কোনো আসবাব যেন ভারী, জমকালো ও গাঢ় রঙের না হয় সেই বিষয়ে খেয়াল রাখুন। ৫) ঘরের পর্দা, কুশন, বিছানার চাদর কিংবা সোফা কোনো কিছুতেই কালো রঙ ব্যবহার করবেন না। কালো রঙ মনকে বিষণ্ণ করে দেয়। ৬) ঘরের পেইন্টিং নির্বাচনের ক্ষেত্রে উজ্জ্বল, ইতিবাচক বিষয় নির্বাচন করুন। ৭) ঘরের ভেতরে কিছু সবুজ গাছপালা রাখুন। সবুজ গাছপালা মনকে সতেজ রাখে এবং মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ৮) বেডরুমে সুগন্ধি ফুল রাখুন। এতে ঘুম ভালো হবে এবং মন থেকে নেতিবাচক প্রভাব দূর হয়ে যাবে। ৯) ঘরে প্রচুর আলোবাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন। রাতেও ঘরকে আলোআঁধারিতে রাখবেন না। উজ্জ্বল আলো জ্বালিয়ে রাখুন। শুধু ঘুমাতে যাওয়ার আগে আলো নিভিয়ে দিন.
প্রতিনিয়ত আপনার বুদ্ধিমত্তা কমিয়ে দিচ্ছে যে খাবারগুলো
আমরা যা খাই তার প্রভাব আমাদের ওপর খুব ভালো করেই পড়ে। কারণ খাবারের সাথে আমাদের দেহের সকল কার্যক্রম জড়িত। পরিমিত এবং ভালো খাদ্যাভ্যাস আমাদের দেহ, মন ও মস্তিস্ক সবই রাখে সুস্থ। এবং বাজে খাদ্যাভ্যাস কমিয়ে দেয় আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং আমাদের করে তোলে অসুস্থ। আমরা অনেকেই অনেক কিছু জানি এবং বুঝি কিন্তু কেউই মেনে চলি না যার মধ্যে বাজে খাদ্যাভ্যাস অর্থাৎ হাবিজাবি খাবার খাওয়ার অভ্যাস। অনেক আজেবাজে খাবার রয়েছে যার কারণে আমাদের দেহের ক্ষতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমন অনেক খাবার আছে যা আমরা বেশ আনন্দ নিয়ে খেয়ে থাকি। কিন্তু এই খাবারগুলো আমাদের মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে দিনের পর দিন। কমিয়ে দিচ্ছে আমাদের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা করার ক্ষমতা। নিজেদের সুস্থতার কারণে আমাদের সতর্ক হয়ে বর্জন করতে হবে এই সকল খাবার।
ফাস্ট ফুড
ছেলেবুড়ো সকলেরই পছন্দ ফাস্ট ফুড। কোনো উৎসব কিংবা পার্টিতে, অনেকে ইচ্ছা করে এবং বাধ্য হয়ে ফাস্ট ফুড খেয়ে থাকেন। ফাস্ট ফুড এমন একটি খাবার যা নেশা ধরায়। অর্থাৎ একবার খেলে খেতেই ইচ্ছা করে। কিন্তু ফাস্ট ফুড আমাদের মস্তিস্ক এবং বুদ্ধিমত্তার জন্য অনেক খারাপ। প্রায় ৪০০০ বাচ্চার ওপর গবেষণা করে ব্রিটিশ স্টাডিজ তাদের রিপোর্টে বলেন, ‘যে বাচ্চারা প্রায় প্রতিদিন এবং বেশীরভাগ সময় ফাস্ট ফুড ধরণের খাবার খায় তাদের আইকিউ লেভেল একজন সাধারণ বাচ্চার তুলনায় অনেক কম’। শুধুমাত্র বাচ্চাদের জন্য নয় বড়দের জন্যও ফাস্ট ফুড খাওয়া অত্যন্ত খারাপ।
চিনি সমৃদ্ধ খাবার
অনেকেই মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশ পছন্দ করেন। খাবার শেষে একটু মিষ্টি জাতীয় খাবার না খেলে অনেকের খাওয়াই পূর্ণ হয় না। বাচ্চারাও ক্যান্ডি এবং মিষ্টি অনেক বেশি পছন্দ করে। চিনি সমৃদ্ধ খাবার আমাদের মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। ইউসিএলএ এর গবেষকদের মতে ‘ চিনি, ফ্রুক্টোজ কোনো কিছু শেখার ক্ষমতা এবং স্মৃতিশক্তি নষ্ট করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে’। তাই যতটা সম্ভব চিনি থেকে দূরে থাকাই ভালো। তবে একেবারে না খাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
বাটার এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট
সকালের নাস্তায় পাউরুটির ওপর বাটার এবং খাবারের স্বাদ বাড়াতে অনেকেই বাটার ব্যবহার করেন। কিন্তু বাটার আমাদের বুদ্ধিমত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ। বাটার এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট আমাদের মস্তিস্কের চিন্তা করার ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। গবেষণায় দেখা যায় যারা এই ধরণের স্যচুরেটেড ফ্যাট বেশি খান তাদের চিন্তাশক্তি এবং স্মৃতিশক্তি মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট যারা খান তাদের তুলনায় অনেক কম।
টিনজাত এবং প্রসেসড ফুড
অনেকেই কর্মব্যস্ত জীবনকে সহজ করার জন্য টিনজাত এবং প্রসেস করা খাবারের ওপর ভরসা করে থাকেন। বাজাতে তো বলতে গেলে সবই ইদানিং টিনজাত এবং প্রসেস করা খাবার পাওয়া যায়। কিন্তু এই খাবার গুলোতে রয়েছে উচ্চমাত্রার আর্টিফিশিয়াল রঙ ও ফ্লেভার, ট্র্যান্স ফ্যাট এবং লবণ যা মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে। ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিস্টলের গবেষকগণ দেখতে পান যারা এই ধরণের খাবার বেশি খান তাদের আইকিউ লেভেল অনেক নিচু থাকে এবং এই খাবারগুলো দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও নষ্ট করে।


