please find this

Friday, 30 May 2014

Table Manner


বাড়ির একঘেয়ে খাবার থেকে ছুটি নিতে কার না ভালো লাগে। হালকা-পাতলা রেস্তোরাঁ বা ফাইভ স্টার হোটেল অথবা আইসক্রিম পারলার বা কফি শপে মানতেই হবে কিছু ম্যানার্স। জেনে নিন বাইরে খেতে গেলে নিজেকে কীভাবে রেডি করবেন।

পোশাক-আশাক

বাইরে খেতে গেলে আপনার প্রিপারেশনের প্রথম ধাপ হচ্ছে পোশাক-আশাক। জেনে নিন আপনার আউটলুক কেমন হবে।

প্রথমত কী ধরনের রেস্তোরাঁয় যাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করবে আপনি কী পরবেন। যদি ফাইভস্টার হোটেলের রেস্তোরাঁয় খেতে যান তাহলে ওয়েল-ড্রেসড হয়ে যাওয়াটা বাঞ্ছনীয়। সেক্ষেত্রে গর্জিয়াস শাড়ি বা সালোয়ারকামিজ হতে পারে ফার্স্ট চয়েস। সঙ্গে মানানসই জুতা আর ব্যাগ। ছেলেরা ফর্মাল সুট-টাই পরতে পারেন। পায়ে ক্খেত্ক্ষেত্রেএমনিতে রেস্তোরাঁর জন্য ক্যাজুয়াল পোশাক আদর্শ। জিন্স, ট্রাউজারের সঙ্গে শর্ট কুরতি বা টপ, এমনকি শর্ট ড্রেসে নিজেকে সাজিয়ে নিতে পারেন। অ্যাকসেসরিজ যত কম থাকে ততই ভালো। মেক-আপেও ন্যাচারাল লুক মেইনটেইন করুন। ছেলেরা ডেনিম, টি-শার্ট এবং পায়ে স্নিকার্স পরতে পারেন। হাতে বড় ডায়ালের ঘড়ি বা স্পোর্টস ওয়াচ ভালো মানাবে।

পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন সময় রেস্তোরাঁয় যাচ্ছেন, সেটা মাথায় রাখা জরুরি। যদি দিনের বেলা হয় তাহলে হালকা রং ভালো। রাতের জন্য ডার্ক কালার। যদি রিল্যাক্স মুডে থাকেন তাহলে যে পোশাকে আপনি কমফোর্ট ফিল করেন সেই পোশাক বেছে নিন। হালকা সুতির চুড়িদার কুরতি বা কাপরি হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ। সাদা বা প্যাস্টেল শেডের পোশাক এ ক্ষেত্রে একেবারে পারফেক্ট। খোলা চুল বা উঁচু পনিটেল আর চোখে সানগ্লাস আপনার লুককে আরও ডিফাইন করবে।

অনেক সময় রেস্তোরাঁয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকে। তা হতে পারে বিবাহবার্ষিকী বা জন্মদিনের সেলিব্রেশন। অনুষ্ঠানের যদি কোনো ড্রেসকোড থাকে তাহলে তা মেনেন চলুন। নাহলে উপলক্ষ বুঝে পোশাক বেছে নিন।

Table manner

টেবিলে সোজা হয়ে বসবেন। টেবিলের ওপর কোনোভাবেই ঝুঁকবেন না। যতক্ষণ না খাবার সার্ভ করা হচ্ছে। হাত দুটো কোলের ওপর রাখুন। খাওয়ার সময় হাত টেবিলের ওপর রাখতে পারেন। মোবাইল ফোন হোক বা পার্স সেটা নাকি খাবার টেবিলে রাখাটা অভদ্রতা। কেননা এটি শুধু অন্যদেরই নয় বরং ওয়েটারকেও কিছুটা বিভ্রান্ত করবে। তাই পার্স বা মোবাইল না হয় হাত বা পকেটেই থাক।

খাবার আগে কোলে ন্যাপকিন পেতে নিন। শার্টে ন্যাপকিন গুঁজবেন না। যদি কোনো কারণে আপনাকে টেবিল ছেড়ে উঠতে হয় ন্যাপকিন আলতোভাবে ভাঁজ করে প্লেটের ডানদিকে বা বামদিকে রাখুন। প্লেটের তলায় বা চেয়ারে রাখবেন না।

ডিনার টেবিলে যদি কোনও খাবার পরিবেশন করতে চান, তা হলে আগে অন্যদের প্লেটে খাবারটা দিয়ে তবে নিজের প্লেটে নিন। পানীয়র ক্ষেত্রেও একই জিনিস প্রযোজ্য। যদি নিজের পছন্দ মতো কোনও খাবার অর্ডার দেন, তা হলেও অন্যদের জিজ্ঞেস করে নেবেন তাঁরা চেখে দেখতে ইচ্ছুক কি না। এর পর খাওয়া শুরু করবেন।

চামচ দিয়ে স্যুপ খাওয়ার সময় পুরো চামচটাই মুখে ঢুকিয়ে দেবেন না। মুখের সামনে চামচ-ভর্তি স্যুপ এনে চামচের পাশ থেকে স্যুপ খেতে থাকুন। চামচ টি দিয়ে সুপ মুখে দেবার পুরবে বাটির উল্টো দিকে মুছে নিন। নিজের দিকে নয়।

খাওয়ার সময় পা নাচাবেন না।

সুপের সাথে দেয়া স্ন্যাক টি বা হাতে ধরে বা পাশের ছোটো প্লেট এ রেখে ভেঙ্গে অল্প অল্প করে খান।

অযথা তাড়া হুড়া করে স্যুপ মুখে দেবেন না। এতে আপনার জিব পুরে যেতে পারে। ফু দিয়ে কিছু ঠান্ডা করার চেস্টা করবেন না।

কিভাবে খাবেন

খাবার দিতে দেরি হলে চিৎকার, চেঁচামেচি করবেন না। নম্রভাবে ওয়েটারকে ডেকে কারণ জিজ্ঞাসা করুন। খাবার দেওয়ার সাথে সাথে তড়িঘড়ি করবেন না। সবাই যখন খাওয়া শুরু করে তখন একসঙ্গে খাওয়া শুরু করুন।

খেতে খেতে শব্দ করবেন না। মুখে খাবার নিয়ে কথা বলবেন না। বড়ো হা করে খাবার মুখে দেবেন না বা চিবানর সময় খাবার দেখা যায় এমন ভাবে চিবাবেন না।একেবারে অনেকটা পরিমাণ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। মুখ বন্ধ করে খাবার চিবাবেন।

আপনার সঙ্গে থাকা অতিথিগুলো যতটা খাবার অর্ডার করেছে ততোটা খাবার আপনি অর্ডার করুন। গোগ্রাসে না খেয়ে কিছুটা সময় থামুন খাবার মাঝে।

ফ্রায়েড চিকেন কখনই চামচ দিয়ে খেতে যাবেন না। এক্ষেত্রে টিস্যু দিয়ে ধরে হাত দিয়ে খান।

উঠে গিয়ে বা উবু হয়ে কনো ডিশ নেবেন না। পাশের জন কে অনুরোধ করুন।

মাংসের বা অন্যান্য খাবারের একটি টুকরো শেষ হবার পর আর একটি টুকরো কাটুন ছুরি দিয়ে। তবে কাটার আগে পুরনো টুকরোটি খেয়ে ফেলুন।

ডিজার্ট খাওয়ার সময় চামচ আর কাঁটাচামচ দুই’ই ব্যবহারের অভ্যেস করুন। ধার থেকে একটা ছোট টুকরো কেটে নিন। বাঁ হাতের কাঁটা দিয়ে টুকরোটিকে ঠেলে চামচে তুলে দিন। এ বার মুখে পুরে দিন।

চা পর্ব

চা কাপের অবস্থান হয় সার্ভিস প্লেটের সর্ব ডানে। অর্থাৎ ছুরি-চামচের ডানে।

মনে রাখবেন তরল খাবার রাখা হয় সার্ভিস প্লেটের ডানে এবং সলিড খাবার বামে। এটি মনে রাখলে ভুলে পাশের জনের খাবার নিয়ে আপনি টানাটানি করবেন না।

যদি আপনি কোনো ড্রিংক অর্ডার করেন তাহলে খেয়াল রাখবেন যেন ড্রিংকের গ্লাস সব সময় ডিনার প্লেটের বাঁদিকে থাকে। এমনকি পানির গ্লাস বাঁদিকে রাখাই ভালো।

পান অল্প করে দাত দিয়ে কেটে কেটে খান, একবারে হা করে পুরো পান মুখে ভরে দেবেন না।

খাওয়ার টেবিলে বসার পর ন্যাপকিন নিয়ে কোলের ওপর বিছিয়ে দিন। ন্যাপকিনের ভাঁজ খোলার সময় ঝাঁকাবেন না। খাওয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত ন্যাপকিন আপনার কোলেই থাকবে। কখনও এটি দিয়ে চামচ, কাঁটা বা ছুরি পরিষ্কার করবেন না, বা নিজের মুখ মুছবেন না। কোনও কারণে টেবিল ছেড়ে ওঠার দরকার হলে আলতো করে একে ভাঁজ করে প্লেটের পাশে রেখে দিন। খাওয়া শেষ হলে অর্ধেক ভাঁজ করে আপনার বাঁ দিকে রেখে উঠুন। ন্যাপকিন কখনও কুঁচকে, কোনও কিছুর তলায় গুঁজে রাখবেন না।

খাবার ভাল লাগলে শেফ কে ধন্যবাদ দিতে ভুলবেন না। ওয়েটার কে ১% টিপস দেয়া ভাল। তবে টিপস না দেয়াটা খারাপ।

কিছু টিপস

১) ন্যাপকিন হাত মোছা/লিপস্টিক মোছা/ সর্দি মোছা্র কাজে ব্যবহার করবেন না।

২) প্লেট/চামচ/গ্লাস মোছার জন্য ন্যাপকিন ব্যবহার করবেন না।

৩) ন্যাপকিন হাতে নিয়ে কাউকে ইশারা করবেন না।

৪) মুখ থেকে কাটা, হাড় বা অন্য কিছু বের করতে হলে ন্যাপকিন ব্যবহার করবেন না। এক্ষেত্রে হাত বা কাঁটা চামচ ব্যবহার করুন।

৫) ন্যাপকিন ফ্লোরে পড়ে গেলে তা তোলার চেষ্টা করবেন না। সার্ভারকে ডাকুন এবং আর একটি ন্যাপকিন চেয়ে নিন।

টেবিল ম্যানার এর ফুল কোর্স ছবি সহ শীঘ্রই আসছি।

বিবি ও সিসি ক্রিম এর সঠিক ব্যবহার


সময়ের আলোচিত প্রসাধনী বিবি ও সিসি ক্রিম। এই ক্রিম নানা ব্র্যান্ড, ফর্মুলা, শেড আর দামে পাওয়া যায়। আমরা অনেকেই জানি না, এই ক্রিমের বিশেষত্ব কী, ব্যবহার প্রণালিই বা কী রকম। বিস্তারিত জানতে রূপ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জেনে নিন।

বিবি ক্রিম

ব্লেমিশ বাম বা বিউটি বামের সংক্ষিপ্ত রূপ বিবি ক্রিম। শুরুতে এটা স্কিন লেজার ট্রিটমেন্টের জন্য ব্যবহার হতো। এখন বিবি ক্রিম বাজারে মাল্টি-টাস্কার ক্রিম হিসেবে ব্যবহার হয়। বিবি ক্রিমের বিশেষত্ব হলো এটি ত্বক পরিচর্যা ও মেকআপ উপাদানের সংমিশ্রণে তৈরি। এই ক্রিম আপনাকে দেবে অল-ইন-ওয়ান স্কিন কেয়ার।

অমসৃণ ত্বক থেকে শুরু করে রোদ থেকে ত্বককে বাঁচায় এবং ব্লেমিশ, ব্রণ ও দাগ প্রতিরোধ এবং ময়েশ্চারাইজ করে।

সিসি ক্রিম

কালার কারেকশন অথবা কমপ্লেকশন কেয়ারের সংক্ষিপ্ত রূপ সিসি ক্রিম। বিবি ক্রিম সব ধরনের স্কিন টোনের সঙ্গে মানায় না, ত্বক তৈলাক্ত করে ফেলে, ঠিকমতো মেকআপ নেওয়া যায় না। এসব সমস্যা সমাধান দিতেই আসে সিসি ক্রিম। সিসি ক্রিম সহজেই ত্বকে বসে যায়, বিবি ক্রিমের তুলনায় বেশি মেকআপ কাভারেজ দেয়, ত্বক তৈলাক্ত হয় না। অনেক সময় স্থায়ী হয়। সিসি ক্রিমে এমন এক উপাদান আছে, যা ত্বকের কোলোজেন বাড়াতে সাহায্য করে। কোলোজেন ত্বক মসৃণ, উজ্জ্বল এবং ত্বক কোষের আয়ু বাড়ায়।

বিবি ক্রিম বা সিসি ক্রিম যেভাবে কাজ করে

এক অর্থে বিবি ও সিসি ক্রিম সাধারণ ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে ফাউন্ডেশন ও সানস্কিনের সংমিশ্রণ। তার মানে এই নয় যে এগুলো আপনার দৈনন্দিন ব্যবহারের ময়েশ্চারাইজার ও সানস্কিনের পরিবর্তে। এর মধ্যে থাকা উপাদান আপনাকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। ক্রিম শুধু আপনি ফাউন্ডেশনের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন। তার পরও মুখে যদি গাঢ় দাগ থাকে, তাহলে কনসিলারের বিকল্প নেই। বিবি বা সিসি ক্রিম দুটিই মেকআপের বেইস প্রাইমার হিসেবে ভালো কাজ করে।

বিবি বা সিসি ক্রিমের অসুবিধা হলো শুধু দুটি শেডে পাওয়া যায়। বিবি ও সিসি ক্রিম ছেলেদের কাছেও জনপ্রিয়। এ ছাড়া সহজে ব্যবহার করা যায়। এমনকি যাঁরা মেকআপ নিতে আগ্রহী কিন্তু চান না সেটা বোঝা যাক, তাঁদের কাছেও জনপ্রিয়।

কেনার সময় খেয়াল রাখুন

* হাতের উল্টো পাশের ত্বক ও ক্রিমের রং মিলিয়ে নিন। খেয়াল করুন আপনার ত্বকের সঙ্গে ক্রিমের টেক্সার ঠিকমতো মিশছে কি না।

* তৈলাক্ত ত্বকের জন্য লুমিনাস এবং শিমার ফর্মুলা বাদে কিনুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সবচেয়ে ভালো ম্যাট ও জেল বেইসড ফর্মুলা।

* শুষ্ক এবং স্বাভাবিক ত্বকের জন্য লুমিনাশ, শিমার, যেকোনো ফর্মুলা বেছে নিতে পারেন।

>বিবি ক্রিম কিনবেন যদি আপনার ত্বক হয়

* সংবেদনশীল

* শুষ্ক

* রোদে পোড়া

* একনে ও ব্রণে ভরা।

সিসি ক্রিম কিনবেন যদি আপনার ত্বক হয়

* তৈলাক্ত

* অসমান

* দাগ বহুল

* ফাইন লাইন এবং বয়সজনিত ভাঁজে ভরা।

ব্যবহার বিধি

বিবি বা সিসি ক্রিম একবারে অল্প করে পুরো মুখে মিশিয়ে দিন। কিছুটা বেশি কাভারেজ চাইলে দ্বিতীয়বার ব্যবহার করুন। কিন্তু মনে রাখবেন, অতিরিক্ত হয়ে গেলে মুখে মিশবে না, উল্টো মাস্কের মতো দেখাবে। ইচ্ছে করলে ব্রাশের সাহায্যেও লাগাতে পারেন।

কৃতজ্ঞতা: রূপ বিশেষজ্ঞ কনা আলম, ওমেন্স ওয়ার্ল্ড