please find this

Tuesday, 10 June 2014

সানন্দা: নর নারী উভয়ের জন্যে দরকারি একটি বিষয়

সানন্দা: নর নারী উভয়ের জন্যে দরকারি একটি বিষয়: ত্বকের উপযোগী সঠিক সানস্ক্রিন বাছাই করবেন যেভাবে আজ কাল সবাই অনেক ত্বক সচেতন। না হয়ে উপায়ও নেই। কারন আমাদের দাদা নানা দের সেই সতেজ পুস্টি...

নর নারী উভয়ের জন্যে দরকারি একটি বিষয়


ত্বকের উপযোগী সঠিক সানস্ক্রিন বাছাই করবেন যেভাবে

আজ কাল সবাই অনেক ত্বক সচেতন। না হয়ে উপায়ও নেই। কারন আমাদের দাদা নানা দের সেই সতেজ পুস্টিকর খাবার আর আরামদায়ক স্নিগ্ধ আবহাওয়ার দিন শেষ হয়েছে সেই কবেই...এখন আবহাওয়া যেমন বৈরি তেমনি ভেজাল আমাদের খাবার। কাজেই আমরা চেহারার দিক দিয়ে বুড়ো হয়ে যাচ্ছি দ্রুতই। এই অকালের ত্বক কুচকে যাওয়া এবং ত্বকের কাল ছোপ থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি দেয় সান স্ক্রিন। তাই ত্বক এর ধরন বুঝে সঠিক সান স্ক্রিন টা বাছাই করার দায়িত্ব টা আপনার নিজেরই । আসুন জেনে নেই কোন স্কিন এ কোন সান্সক্রিন মানানসই ।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য

কিভাবে বুঝবেন আপনার ত্বক তৈলাক্ত? সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি দেখেন আপনার নাক, কপাল এবং থুঁতনি তেলতেলে। রোদে গেলে যদি আপনাকে অনেক কালো দেখায়। এবং মুখ ধোয়ার পরে যদি ত্বক তৈলাক্ত থাকে। এর যে কোনো একটি হলেই আপনার ত্বক তৈলাক্ত । তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সাধারণ যে কোন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিৎ নয়। এতে ব্রণের উপদ্রব বাড়ে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অবশ্যই পানির মাত্রা বেশি অর্থাৎ ওয়াটার বেইজড সানস্ক্রিন বাছাই করা উচিৎ। এতে করে রোদ এবং ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। সানস্ক্রিনের এসপিএফ অবশ্যই ৩০ মাত্রার অধিক ব্যবহার করবেন। ব্যাবহারের ১৫ মিনিট পর বাইরে বের হবেন।

শুষ্ক এবং রুক্ষ ত্বকের জন্য

মুখ ধোয়ার পরে যদি ত্বকে টান ধরে,গরমেও। মাঝে মাঝেই যদি ত্বক খুব শুষ্ক এবং খসখসে হয়ে যায় বা ডেড স্কিন ওঠে তাহলে আপনার ত্বক শুষ্ক। শুষ্ক এবং রুক্ষ ত্বকের জন্যও আলাদা ধরণের সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ সানস্ক্রিন এমনিতেই ত্বক শুষ্ক করে ফেলে। রুক্ষ ত্বকে সাধারণ সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ত্বক আরও বেশি শুষ্ক এবং রুক্ষ হয়ে পরে। তাই রুক্ষ এবং শুষ্ক ত্বকের জন্য ময়েসচারাইজার সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন বাছাই করতে হবে। একই সাথে এসপিএফ ৩০ মাত্রার অধিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

সাধারণ ত্বকের জন্য

কখনো শুষ্ক এবং কখনো তৈলাক্ত অথবা দিনের একটি বিশেষ সময়ে তৈলাক্ত বাকি সময়ে শুষ্ক অথবা মুখের কিছু অংশ তৈলাক্ত এবং কিছু অংশ শুষ্ক। এধরনের ত্বক কেই আমরা স্বাভাবিক বা সাধারন ত্বক বলি। এই ত্বক আপনাকে যতই দ্বিধায় ফেলুক এবং যতই ভোগাক আপনার ত্বক টি আসলে অসাধারন। সবচে ফ্লেক্সিবল এবং ভাল ত্বক বলি আমরা এই ত্বক কেই। সাধারণ ত্বকের জন্য সানস্ক্রিন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে খুব বেশি বাছা বাছি করার প্রয়োজন নেই। কারণ সাধারণ ত্বকের ৩০ থেকে ৫০ এসপিএফ মাত্রার সানস্ক্রিন ভালো ভাবেই কাজ করে। সাধারণ ত্বকের জন্য শুধুমাত্র ভালো ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিৎ। এতে করে ত্বক ঘেমে গেলেও সানস্ক্রিন ত্বকে থাকবে।

কিছু টিপস মনে রাখুন:

- সানস্ক্রিন কেনার আগে অবশ্যই ভালো করে মেয়াদ উত্তীর্ণের সময় দেখে নেবেন।

- অনেকের ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে। তাই সানস্ক্রিন কেনার আগে এর উপকরণগুলো ভালো করে পরে নেবেন।

- যে সকল সান্সক্রিনে অক্সিবেঞ্জোন, রেটিনাইল পালমিটেট এবং প্যারাবেন্স জাতীয় উপাদান রয়েছে সে সকল সানস্ক্রিন এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ এই ধরণের উপাদান ত্বকের ক্যান্সারের জন্য দায়ী।

মাঝে মাঝেই ব্র্যান্ড বদলে ব্যাবহার করুন তাহলে যে কোন প্রসাধন থেকেই ভাল উপকার পাবেন।

তথ্যসূত্র: প্রিয় লাইফ

প্রতিদিন ১ গ্লাস অ্যালোভেরার রস পানে আপনি যেভাবে সুস্থ থাকবেন


অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীকে আমরা একটি ভেষজ ঔষধি গাছ বলেই চিনে থাকি। তবে সবাই এই গাছটির সাথে খুব বেশি পরিচিত নন। অ্যালোভেরা গাছের গোঁড়া থেকেই সবুজ রঙের পাতা হয় এবং পাতাগুলো পুরু ধরণের হয় যার দুই পাশেই করাতের মত ছোট ছোট কাঁটা থাকে। পাতার ভেতরে স্বচ্ছ পিচ্ছিল ধরণের শাঁস থাকে যাকে অ্যালোভেরা জেল বলা হয়। এই গাছের পাতা থেকেই নতুন গাছ জন্মায়।

এই অ্যালোভেরা জেল পাতা থেকে বের করে নিয়ে পানির সাথে মিশিয়ে সামান্য মধু দিয়ে তৈরি করা যায় সুস্বাদু শরবত। অ্যালোভেরার এই শরবতটি সকলের কাছে জনপ্রিয় না হলেও এই অ্যালোভেরার শরবতের রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যগুণ। প্রতিদিন ১ গ্লাস অ্যালোভেরার শরবত শরীরকে রাখবে সুস্থ এবং এর পাশাপাশি সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করবে। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক অ্যালোভেরার শরবত যেভাবে আপনাকে রাখবে সুস্থ।

হৃদপিন্ড সুস্থ রাখে অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরার রস রক্তের সাথে মিশে রক্তে অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। এতে করে আমাদের দেহের শিরা উপশিরায় অক্সিজেন সম্বলিত রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায় এবং তা আমাদের হৃদপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। বৃটিশ মেডিকেলের গবেষকদের মতে অ্যালোভেরার রস রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিতে বিশেষভাবে কার্যকরী। এতে করেও হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ডাক্তাররাও বেশীরভাগ সময় হৃদপিণ্ডের রোগীদের নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে অ্যালোভেরা

গবেষণায় দেখা যায় যারা নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করেন তাদের দেহের ইমিউন সিস্টেম অন্যান্যদের তুলনায় প্রায় ৪০% বেশি উন্নত থাকে। অ্যালোভেরার রস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ১ গ্লাস অ্যালোভেরার শরবত দেহের সাদা রক্ত কনিকা বাড়ায় যা রোগ প্রতিরোধে বিশেষভাবে কার্যকরী। এবং অ্যালোভেরার উদ্ভিজ্জ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের ইমিউ সিস্টেম অনেক উন্নত করে।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করে

অনেকেই হজমের নানা সমস্যায় ভুগে থাকেন। পেটের বিভিন্ন সমতায় পরে বেশীরভাগ সময়েই অসুস্থ পয়ে পড়েন। তাদের জন্য অ্যালোভেরার শরবত মহাঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে। অ্যালোভেরার একটি বিশেষ গুণ হলো এটি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া জনিত সমস্যার সমাধান করতে পারে। অ্যালোভেরা শুধুমাত্র হজম শক্তিই উন্নত করে না, এর পাশাপাশি পেটের নানা সমস্যার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করতে সহায়তা করে।

ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করে

অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিএইজিং উপাদান যা ত্বকের সুরক্ষায় বিশেষ ভাবে কার্যকর। প্রতিদিন ১ গ্লাস অ্যালোভেরার শরবত পান করলে দেহের ভেতর থেকে ত্বকের নানা সমস্যা যেমন ব্রণ, ইনফেকশন এমনকি ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এছাড়াও অ্যালোভেরার রস সরাসরি ত্বকে প্রয়োগ করলে ব্রণ এবং ব্রণের দাগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

স্বাস্থ্য উজ্জ্বল চুলের জন্য অ্যালোভেরা

ত্বকের পাশাপাশি অ্যালোভেরা চুলের জন্যও বেশ ভালো একটি উপাদান। প্রতিদিন মাত্র ১ গ্লাস অ্যালোভেরার শরবত চুলের নানা সমস্যা থেকে রেহাই দেবে। চুল পড়া, চুলের আগা ফাটা এবং চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যার সমাধান করে অ্যালোভেরা। এছাড়াও অ্যালোভেরার রস সরাসরি তেলের সাথে মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। এর চাষ বা লাগানোর পদ্ধতি আমরা মুটামুটি সবাই জানি তারপর ও জানিয়ে রাখি এটি খুব সহজলভ্য। আপনার আশে পাশের নার্সারি তেই পাবেন। খুব ছোট্ট একটা টুকরো কিনে এনে লাগিয়ে দিন বাসার জানালার পাশে বা, ছাদে, অথবা বাথরুমের আলকিত কোণ এ। অল্প পানি আর কোনোরকম পরিচর্যা ছাড়াই তর তর করে বেড়ে উঠে আপনার ঘরটিকে করে তুলবে হাস্যজ্বল আর পাশা পাশি পুরন করবে আপনার প্রয়োজন।
তথ্যসূত্র: প্রিয় লাইফ