please find this

Tuesday, 20 May 2014

গরমেও ঝলমলে চুল পেতে চাইলে


| সবাই চায় নিজেকে সুন্দর দেখাতে। আর এই সুন্দর দেখানোর জন্য চুলের সৌন্দর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ কড়া রোদ ও হঠাত্ বৃষ্টির এই সময়টাতে চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ-শুষ্ক, তেল চিটচিটে ও অনুজ্জ্বল। আর তাই এই গরমে কীভাবে চুল রাখবেন ঝলমলে ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল -প্রত্যেকের চুলের ধরন এক নয়। একেক জনের চুল একেক ধরনের। আর তাই এর পরিচর্যাও করতে হয় চুলের ধরন অনুযায়ী। তবে কিছু কমন সমস্যা আছে, যা প্রায় সবারই হয়। তাই কমন কিছু পরিচর্যাও আছে, যা সবার জন্যই প্রযোজ্য। আসুন গরম আবহাওয়ায় চুলের পরিচর্যার ধাপগুলো জেনে নিই:
# গরমের সময় ধুলো-ময়লা ও রোদের তাপ বেশি। গরম থেকে বাঁচতে এ সময়ে বেশিরভাগ সময় এসির মধ্যে থাকা হয়। এতে চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ ও অনুজ্জ্বল। # এ সময়ে ধুলো-ময়লা এড়াতে চুল ঘন ঘন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনিং করা হয়। এতেও চুল রুক্ষ হয়। তাই রাতে খুব ভালো করে চুলে তেল লাগান। পরদিন শ্যাম্পু করুন। তবে কন্ডিশনার কম লাগাতে চেষ্টা করবেন। # গরমের সময়ে চুলে সানবার্ন হয়। তাই বাইরে বের হলে ছাতা বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন। # চুল খুব বেশি রুক্ষ হলে শ্যাম্পু করার পর সমপরিমাণ পানির সঙ্গে টক দই ও লেবুর রস মিশিয়ে পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। তারপর চুল আবার ধুয়ে ফেলুন। # বাইরে বের হওয়ার সময় চুল ঝুঁটি বা খোঁপা করে বের হন। তাহলে আর অস্বস্তি লাগবে না।
# তবে বেশি টাইট করে খুব বেশি সময় চুল বেঁধে রাখবেন না। এতে চুলের ভেতর বাতাস ঢুকতে পারে না। সম্ভব হলে মাঝে মাঝে চুল খুলে ভেতরে বাতাস চলাচল করতে দেয়া ভালো। # মাথায় ত্বক ঘেমে গেলে অবশ্যই ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন। ভেজা চুল বাঁধবেন না। # চুল রোদে পোড়া হলে ডিপ কন্ডিশনিং জরুরি। আর এ সময়ে চুলে সানস্ক্রিন সমৃদ্ধ হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করা ভালো। # সারাদিন পর ঘরে ফিরে চুল খুলে বাতাস চলাচল করতে দিন। মোটা দাঁতের চিরুনী দিয়ে আঁচড়ে নিন বেশ কিছুক্ষণ।
# মাথার ত্বক শুষ্ক হলে খুব ঘন ঘন শ্যাম্পু করবেন না। শ্যাম্পু করার ঘণ্টাখানেক আগে চুলে কুসুম গরম তেল ম্যাসাজ করুন। এরপর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে পানি নিংড়ে মাথায় জড়িয়ে রাখুন ৫ মিনিট। এভাবে তিনবার মাথায় স্ট্রিম নিন। এরপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এ ক্ষেত্রে হার্বাল শ্যাম্পু উপকারী। # মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলে তাতে ধুলো ময়লা জমে বেশি। আর এতে চুল হয়ে পড়ে খসখসে ও তেল চিটচিটে। এছাড়া স্ক্যাল্পে তেল জমে থাকার কারণে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। আর তাই এ ধরনের চুল ঘন ঘন শ্যাম্পু করতে হয়। এছাড়া কন্ডিশনিংও জরুরি। কন্ডিশনার চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নেবেন।

সৌন্দর্যচর্চায় লেবুর রসের ১১টি জাদুকরী গুণ


এই গরমে এক গ্লাস ঠাণ্ডা লেবুর শরবতের কথা মনে হলেই মনটা জুড়িয়ে যায়। আর গলাধঃকরণ করতে পারলে তো কথাই নেই। সেইসঙ্গে এই আর্শীবাদপুষ্ট ফলটি রূপচর্চার কাজেও সবার চেয়ে এগিয়ে। এখানে বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন লেবুর ১১টি দারুণ ব্যবহার।
১. হেয়ার লাইটেনার লেবুর রস চুলের দারুণ লাইটেনার হিসেবে করে। কোনো কিছু দেওয়ার প্রয়োজন নেই। লেবুর রস চুলে দিয়ে নিন। এতে সূর্যের তাপ মাথাকে গরম করতে পারবে না। ২. নখের সৌন্দর্য বর্ধক জেল ম্যানিকিউর নখকে দুর্বল করে দেয়। এতে নখ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। লেবুর রস থাকতে ভয় নেই। অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে তাকে নখ ভিজিয়ে রাখুন। এতে ক্ষয়প্রাপ্ত নখ সুন্দর ও সুস্থ হয়ে উঠবে। ৩. ঠোঁটের যত্নে শীতের শুষ্ক ঠোঁটে যেমন চামড়া ওঠে, আপনার ঠোঁট তেমন হয়ে থাকলে লেবুই ভরসা। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে লেবুর রস ঠোঁটে দিয়ে ঘুমিয়ে যান। এতে আপনার অধর হবে স্ফীত, কোমল ও মসৃণ। ৪. চুলের তেল চিটচিটে ভাব দূর করতে চুলে তেল দিতে হয়। কিন্তু শ্যাম্পু করার পরও তাতে তেল চিটচিটে ভাব থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে লেবুর রস বিস্ময়কার কাজ দেয়। লেবুর রসে অ্যাসট্রিনজেন্ট রয়েছে যা তেলতেলে অংশ শুষে নেয়। চুল হয় ঝরঝরে। ৫. ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি লেবুতে ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড রয়েছে। এই রস শুধু ত্বকের তেলতেলে ভাবই দূর করে না, সেইসঙ্গে ত্বককে উজ্জ্বল করে দেয়। তবে এই ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে এসপিএফ ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
৬. বলিরেখা হালকা করে দেয় বয়সের ছাপ পড়ে বলিরেখার মাধ্যমে। তা ছাড়া অনেকের এমনিতেই বলিরেখা পড়তে পারে। এসব বলিরেখা দূর করতে মানুষ কতো পয়সা খরচ করে দামি দামি ক্রিম ব্যবহার করেন। কিছুটা কাজ হলেও নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ লেবুর রস এই বলিরেখা দূর করতে দারুণ কার্যকর। রেখাগুলোতে লেবুর রস দিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন এবং ধুয়ে ফেলুন। ৭. দাঁত পরিষ্কার করে দাঁতের যত্নে ভালো পেস্টের চেয়েও ভালো কাজ করে লেবুর রস। অল্প পরিমাণ বেকিং সোডার সঙ্গে কিছু লেবুর রস মিশিয়ে পেস্টের মতো বানান। তার পর দাঁত মেজে দেখুন কী ফল দাঁড়ায়। ৮. কনুই এবং হাঁটুকে মসৃণ করে মানুষের কনুই এবং হাঁটুর অংশটি খসকসে হয়। এই অংশ দুটিকে মসৃণ এবং সুন্দর করে দেয় লেবুর রস। এক টেবিল চামচ লবণ, সামান্য অলিভ ওয়েল এবং কিছু লেবুর রস মিশিয়ে লাগান। দেখুন জাদুর মতো কাজ করবে। ৯. খসখসে ত্বককে মসৃণ করে যাদের ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের অভাব রয়েছে তারা কয়েক ফোঁটা ডাবের পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে ঘষুন। দেখবেন, ত্বক সুন্দর কোমল হয়েছে। আবার লেবুর রসে তা উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
১০. দুর্গন্ধ দূর করে ডিওডরেন্ট ব্যবহার না করলেও চলবে। লেবুর রসের সাইট্রিক এসিড থাকে যা বাজে গন্ধ হটিয়ে দেয়। তাই দুর্গন্ধের স্থানে লেবুর রস মেখে নিন। দুর্গন্ধ চলে যাবে। ১১. ব্ল্যাক হেড ট্রিটমেন্ট নাকের ওপর বা ত্বকে ব্ল্যাক হেড সৌন্দর্যহানি ঘটায়। লেবুর রস এসব ব্ল্যাক হেডের গোড়া নরম করে তাদের তুলে আনে। লেবুর রসের সঙ্গে আর কিছু মেশানোর প্রয়োজন নেই। বেশ ভালো করে ত্বকে রস দিয়ে ঘষুন।

গরমে চাই ফ্রুট ফেসিয়াল


বর্তমান আবহাওয়ায় আমাদের সকলেরই ত্বকের বেহাল অবস্থা। ত্বকের এই দুর্দশা রক্ষা করতে চাই ফ্রুট ফেসিয়াল। আজকাল আমরা সকলেই নানান ধরনের ফেসিয়াল করে থাকি। তবে সকল ধরণের ত্বকের জন্য ফ্রুট ফেসিয়াল অত্যন্ত উপযোগী।
গরমের এই মৌসুম হচ্ছে ফলের মৌসুম। মৌসুমী এ সকল ফল দিয়েই আপনি ঘরে বসে করতে পারেন ফ্রুট ফেসিয়াল। যা যা লাগবে—- ১। ক্লিনজিং মিল্ক ২। ম্যাসাজ ক্রিম ৩। ফেস ওয়াশ ৪। স্ক্রাব ফেস ওয়াশ ৫। পেষ্ট করা ফল (কলা, তরমুজ, পাকা আম -ইত্যাদি) ৬। কুসুম গরম পানি
যেভাবে করবেন ——- প্রথমে মুখে অল্প করে ক্লিজিং মিল্ক নিয়ে ম্যাসাজ করুন। এরপর ফেস ওয়াস দিয়ে মুখ ম্যাসাজ করে মুখ ধুয়ে নিন। এবার মুখে স্ক্রাব দিয়ে ম্যাসাজ করুন। কুসুম গরম পানিতে একটি তোয়ালে ভিজিয়ে ঐ তোয়ালে দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এবার পেষ্ট করে রাখা ফলের প্যাকটি সম্পূর্ণ ত্বকে প্যাক হিসেবে মাখুন। প্যাকটি শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এখন পুনরায় আবার ভিজা তোয়ালে দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এবার কোনো লোশান বা ক্রিম মেখে ফেসিয়াল সমাপ্ত করুন। ঘরে বসে খুব সহজেই এভাবে আপনি আপনার ত্বকে ফ্রুট ফেসিয়াল করতে পারেন। যা আপনার ত্বককে এই গরমে রাখবে সুন্দর ও প্রাণবন্ত।

এই গরমে আপনার যত্ন


এই গরমে শরীর মন শুধু খোঁজে শীতল আরাম।  রইল আপনাদের জন্যে আরামের খোঁজ।যাঁরা বাইরে কাজ করেন, তাঁদের জন্য সুতি ও ভয়েল কাপড় বেশি উপযোগী। মেয়েরা ফতুয়া বা সালোয়ার-কামিজ বেছে নিতে পারেন। ব্লক প্রিন্টের নকশা করা পোশাক পরতে পারেন গরমে। ঘরে পাতলা কাপড়ের টপ পরতে পারেন। ছেলেরা ফতুয়া বা টি-শার্ট পরতে পারেন। যেসব অফিসে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র আছে, সেখানে ফুলহাতা শার্ট পরা গেলেও বাড়ি ফেরার সময় গরম লাগতে পারে। তাই বেছে নিতে পারেন হাফহাতা শার্ট। পোশাকের ক্ষেত্রে হালকা রং বেছে নিন। হালকা রঙের কাপড় শরীরে তাপ ধরে রাখে না আর এতে মনেও আসে প্রশান্তি।

বাইরে বেরোলে
বাইরে বেরোলে সঙ্গে রাখুন ছাতা, সানগ্লাস, সানব্লক ক্রিম, বিশুদ্ধ পানি। আর প্রয়োজন ছাড়া প্রচণ্ড রোদে বাইরে না যাওয়াই ভালো।

সুস্থ থাকুন 
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক অনুপকুমার সাহা বলেন, ‘গরমের সময় জ্বর, সর্দি, মাথাব্যথা, শরীরে ব্যথা, পেটের পীড়া ও ত্বকের কিছু সমস্যা হতে পারে। শ্বাসকষ্টের কোনো কোনো রোগীর দুর্ভোগ বাড়তে পারে তাপমাত্রার এ পরিবর্তনে। 
তবে অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এড়াতে পারলে পেটের পীড়া থেকে বাঁচা যায়।

গরমে ভালো থাকতে তাঁর কিছু পরামর্শ

  • বাইরে বেরোলে ছায়া আছে এমন স্থানে থাকার চেষ্টা করুন।
  • পানি ও পানিজাতীয় ফল খান।
     
  • বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার ও পানীয়, যেমন: খোলা তরমুজ, বাঙ্গি বা লেবুর শরবত গ্রহণ না করাই ভালো।
     
  • বাইরে থেকে ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ঠান্ডায় থাকতে শুরু করবেন না।
     হঠাৎ বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।                                                                                                 ঢাকারসেন্ট্রাল হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডায়েটিশিয়ান (পথ্যবিদ্যা বিশারদ) ওপুষ্টিবিদ মাহ্মুদা নাজনীন বলেন, ‘গরমে প্রতিদিন ১০-১২ গ্লাস পানি পান করতেহবে। সঙ্গে প্রচুর ডাবের পানি ও লেবুর শরবত পান করতে পারেন।
  • তাঁর আরও কিছু পরামর্শ জেনে নিতে পারেন।
  • রেফ্রিজারেটরের পানি না পান করাই ভালো। স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতেই শরীরের উপকার হয়।
  • পারলে এক বেলা শুধু তরমুজই খান।
  • ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাবেন না। বিরিয়ানি ও ফাস্টফুড খাবেন না।
  • সবজি ও মাছ না ভেজে পাতলা ঝোল করে রান্না করুন।
  • রান্নার সময় তরকারিতে ঝাল-মসলা কম দিন।
  • দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের তরমুজ, লিচু ও আঙুর দেওয়া চলবে না। এতে তাদের অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।

অন্দরে আরাম

রেডিয়েন্ট ইনস্টিটিউট অব ডিজাইনের প্রধান ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনার গুলশান নাসরীন চৌধুরী বলেন, ‘গরমের এই সময়ে অন্দরসাজে একটু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। এতে ঘরে থাকবে প্রশান্তি।
এই সময়কার অন্দরসজ্জার ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
  • ঘরে কার্পেট রাখলে তা এখন সরিয়ে ফেলুন। এর চেয়ে বরং বসার ঘরের মেঝের একপাশে রাখতে পারেন শীতলপাটি। শীতলপাটিতে রাখতে পারেন ছোট-বড় নানান আকারেরকুশন। 
  • ঘরে হালকা রঙের পর্দা ব্যবহার করুন। পর্দার কাপড়েসাদার মধ্যে ব্লক প্রিন্ট বা এমব্রয়ডারি করা থাকতে পারে অথবা সেটিতেবর্ডার থাকতে পারে। আর পর্দা অবশ্যই হতে হবে সুতি কাপড়ে তৈরি।
  • ঘরে খুব বেশি রোদ এলে পর্দার পেছন দিকটা ভারী কাপড়ে তৈরি করুন আর সামনেটায় থাকবে সাদা কাপড়।
  • বাসায় শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র না থাকলেও পেতে পারেন ঠান্ডা আমেজ। এক বোতলহালকা গরম পানিতে এক টেবিল চামচ গোলাপজল মিশিয়ে নিয়ে তা স্প্রে করে দিনঘরের পর্দায়। এতে ঘর ঠান্ডা থাকার পাশাপাশি ঘরে পাবেন সুগন্ধি।
  • আপনার বাসাটি উঁচুতলায় হলে ঘরের জানালা সারা দিনই খোলা রাখতে পারেন। তবেআপনি যদি হন প্রথম থেকে তৃতীয় তলার বাসিন্দা, সে ক্ষেত্রে সন্ধ্যার পর থেকেভোর পর্যন্ত ঘরের জানালা খোলা রাখতে পারেন। সকাল ১০টার পর, বিশেষ করে যেসময়টায় মানুষের ব্যস্ততা বেশি থাকে, সেই সময়ে যতটা পারা যায়, ঘরের জানালাকম খুলুন। তাতে ঘরে ধুলাবালি ঢুুকবে কম।
  • ঘরে কম আসবাব থাকলে ধুলা জমবে কম। 
  • শোবার ঘরে বিছানার চাদরের ওপর বিছিয়ে দিন শীতলপাটি। ভেজা কাপড় দিয়ে পাটি ভিজিয়ে নিয়ে ঘরের ফ্যান ছেড়ে রাখুন।
     
  • যেকোনো ঘরের কোণে খানিকটা জায়গা পেলে সেখানে মাটির বড় চাঁড়িতে পানি রেখে সেটিতে ভাসমান মোমবাতি, গোলাপ, গাঁদা ফুলের পাপড়ি, কচুরিপানা বা অন্য জলজ উদ্ভিদ রাখুন। তবে ঘরে শিশু থাকলে বা ঘর ছোট হলে এটি রাখতে পারবেন না।
  • ঘরের যেখানেই জায়গা পাবেন, সেখানেই গাছ রাখুন। বনসাইও রাখতে পারেন। এতে ঘর সবুজ ও ঠান্ডা থাকে।

গরমে সুস্থ্য থাকতে যে ৫ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলবেন




সারা দেশে তীব্র গরম পড়েছে এবং আগামী কয়েকদিন তা আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময়ে বাড়তি সতর্ক না হলে নানা রোগব্যাধি ও শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পাঁচধরনের খাবার গ্রহণে সাবধানতা এ সময়ের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে পারে আপনাকে।
১. অতিরিক্ত মসলাদার খাবার
অতিরিক্ত মসলা শরীরের এটি বিপাক ক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়। ফলে দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এতে গরমের সময় সমস্যা তৈরি হতে পারে। এ কারণে রান্নায় কিছুটা কম মসলা দিতে হবে অথবা অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
২. আমিষ
গ্রীষ্মকাল অতিরিক্ত মাংসের খাবার, মাছ ইত্যাদি খাওয়ার উপযুক্ত সময় নয়। এমনকি মুরগির মাংস কিংবা সমুদ্রের প্রাণীসমৃদ্ধ খাবারও গ্রীষ্মকালে শরীরের বিপত্তি ঘটাতে পারে। এসব খাবার শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম নিঃস্বরণ করে। এগুলো গ্রীষ্মকালে হজমের সমস্যা করে। এগুলো খাওয়ার ফলে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৩. তৈলাক্ত খাবার ও জাংক ফুড
তেলে ভাজা খাবার গ্রীষ্মকালে শরীরের নানা সমস্যা করে। এ ছাড়াও বার্গার ও নানা ধরনের ফাস্ট ফুড গরমের সময় এড়িয়ে চলতে হবে।
৪. চা ও কফি
শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ার মতো পানীয় হচ্ছে চা ও কফি। এসব পানীয়তে ব্যবহৃত চিনিও শরীরের পানি কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। এ কারণে গরমের সময় এসব পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।
৫.কৃত্রিমসস
খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করা কৃত্রিমভাবে সংরক্ষিত সসও এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষ করে যেসব সসে পনির রয়েছে সেগুলো এ সময় সবচেয়ে ক্ষতিকর হবে। এতে ৩৫০ ক্যালরি রয়েছে, যা গরমে শরীরে অস্বাচ্ছন্দ্য আনবে। তবে কৃত্রিম এসব সসের বদলে প্রাকৃতিক টাটকা সস খাওয়া যেতে পারে।

গরমে ৩ রকম ত্বকের যত্নে ৩ টি ফেসপ্যাক





ঋতু পরিবর্তনের সময়ে দেখা দেয় ত্বকের নানা সমস্যা। কড়া রোদ এবং রুক্ষ আবহাওয়ায় ত্বকে পড়ে দাগ এবং শুরু হয় ব্রনের সমস্যা। এই সময় ত্বকের দরকার হয় বাড়তি যত্ন। তাই আজকে আপনাদের জন্য রইল ত্বকের সুরক্ষায় সময় উপযোগী ৩ টি ফেইস প্যাক।
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে টমেটো ফেইসপ্যাক
এই সময় আবহাওয়া অনেক রুক্ষ হওয়ায় ধুলোবালি বেশি হয়। এতে যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা অনেক সমস্যায় পড়ে থাকেন। ধুলোবালি ত্বকে আটকে গিয়ে সৃষ্টি করে ব্রণের। এই সমস্যা সমাধানে তৈরি করুন টমেটো ফেইস প্যাক।
টি টমেটো টুকরো করে কেটে নিয়ে চিপে রস বের করে নিন। এরপর এতে ৩ চা চামচ চালের গুড়ো, ১ চা চামচ মধু দিয়ে ভালো করে মেশান। এই মিশ্রণটি মুখে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন ১৫ মিনিট। এরপর ৫ মিনিট ত্বকে রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে ত্বকের সমস্যার সমাধান হবে।
শুষ্ক বা রুক্ষ ত্বকের যত্নে কাঠবাদাম এবং মধুর ফেইসপ্যাক
শুষ্ক এবং রুক্ষ আবহাওয়ায় শুষ্ক ত্বক আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যায়। ত্বক ফেটে যায় এবং ত্বক কালো হয়। এই সমস্যার জন্য ব্যবহার করুন কাঠবাদাম এবং মধুর এই ফেইসপ্যাকটি।
৭/৮ টি কাঠবাদাম সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে বেটে নিন। এরপর এতে ১ চা চামচ মধু এবং ১ চা চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে পেস্টের মত তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে হালকা ঘষে তুলে ফেলুন। ত্বক ফাটা এবং ত্বকের কালো দাগ দূর হবে।
সাধারণ ত্বকের জন্য হলুদের ফেইসপ্যাক
যাদের ত্বক সাধারণ তারা এই সময় একটু বেশি সমস্যায় পড়ে থাকেন। কারন যত্ন না নিলে দ্রুত ত্বক ফেটে যায় এবং ত্বক রোদের সংস্পর্শে আসলেই পুড়ে যায়। এই সময়ে ত্বকের যত্ন নিতে ব্যবহার করুন এই ফেইসপ্যাকটি।
একটি বাটিতে ৩ চা চামচ চালের গুড়ো, ১ চিমটি হলুদ গুড়ো, ১ চা চামচ মধু এবং পেস্ট তৈরি করতে প্রয়োজনীয় শসার রস দিন। এরপর এটি খুব ভালো করে মিশিয়ে মসৃণ পেস্টের মত তৈরি করে ত্বকে লাগান। শুকিয়ে উঠলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আলতো ঘষে তুলে ফেলুন। ভালো ফলের জন্য সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন এই ফেইসপ্যাকটি।