please find this

Thursday, 29 May 2014

গরমে ৩ রকম ত্বকের যত্নে ৩ টি ফেসপ্যাক


ঋতু পরিবর্তনের সময়ে দেখা দেয় ত্বকের নানা সমস্যা। কড়া রোদ এবং রুক্ষ আবহাওয়ায় ত্বকে পড়ে দাগ এবং শুরু হয় ব্রনের সমস্যা। এই সময় ত্বকের দরকার হয় বাড়তি যত্ন। তাই আজকে আপনাদের জন্য রইল ত্বকের সুরক্ষায় সময় উপযোগী ৩ টি ফেইস প্যাক।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে টমেটো ফেইসপ্যাক

এই সময় আবহাওয়া অনেক রুক্ষ হওয়ায় ধুলোবালি বেশি হয়। এতে যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা অনেক সমস্যায় পড়ে থাকেন। ধুলোবালি ত্বকে আটকে গিয়ে সৃষ্টি করে ব্রণের। এই সমস্যা সমাধানে তৈরি করুন টমেটো ফেইস প্যাক।

১ টি টমেটো টুকরো করে কেটে নিয়ে চিপে রস বের করে নিন। এরপর এতে ৩ চা চামচ চালের গুড়ো, ১ চা চামচ মধু দিয়ে ভালো করে মেশান। এই মিশ্রণটি মুখে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন ১৫ মিনিট। এরপর ৫ মিনিট ত্বকে রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে ত্বকের সমস্যার সমাধান হবে।

তৈলাক্ত ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে নিচের জিনিস গুলো জোগাড় করে প্যাক বানিয়ে নিয়ে ঘরোয়াভাবে ব্যবহার করতে পারেন।

১। ২ টেবিল চামচ লেবুর রস

২। ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন

৩। ৩ টেবিল চামচ গোলাপ জল

-এবার এই উপাদান গুলো একটি পরিষ্কার পাত্রে নিয়ে একসাথে মিশিয়ে নিন। এটা বেশ ঘন একটা প্যাক তৈরি হবে।

ব্যাস তৈরি হয়ে গেল আপনার ত্বকের রঙ উজ্জল করার একটি অনন্য ঘরোয়া প্যাক।মুখে ভালভাবে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে প্যাকটি আপনার ত্বক হতে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে ছয়বার করে চার সপ্তাহ ব্যবহার করুন।

এভাবে প্যাকটি ব্যবহারে আপনি আপনার তৈলাক্ত ত্বকের উজ্জলতা ফিরে পাবেন।

শুষ্ক বা রুক্ষ ত্বকের যত্নে কাঠবাদাম এবং মধুর ফেইসপ্যাক

শুষ্ক এবং রুক্ষ আবহাওয়ায় শুষ্ক ত্বক আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যায়। ত্বক ফেটে যায় এবং ত্বক কালো হয়। এই সমস্যার জন্য ব্যবহার করুন কাঠবাদাম এবং মধুর এই ফেইসপ্যাকটি।

৭/৮ টি কাঠবাদাম সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে বেটে নিন। এরপর এতে ১ চা চামচ মধু এবং ১ চা চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে পেস্টের মত তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে হালকা ঘষে তুলে ফেলুন। ত্বক ফাটা এবং ত্বকের কালো দাগ দূর হবে।

স্বাভাবিক ত্বকের জন্য হলুদের ফেইসপ্যাক

যাদের ত্বক সাধারণ তারা এই সময় একটু বেশি সমস্যায় পড়ে থাকেন। কারন যত্ন না নিলে দ্রুত ত্বক ফেটে যায় এবং ত্বক রোদের সংস্পর্শে আসলেই পুড়ে যায়। এই সময়ে ত্বকের যত্ন নিতে ব্যবহার করুন এই ফেইসপ্যাকটি।

একটি বাটিতে

৩ চা চামচ চালের গুড়ো

১ চিমটি হলুদ গুড়ো

১ চা চামচ মধু

এবং পেস্ট তৈরি করতে প্রয়োজনীয় শসার রস দিন

এরপর এটি খুব ভালো করে মিশিয়ে মসৃণ পেস্টের মত তৈরি করে ত্বকে লাগান। শুকিয়ে উঠলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আলতো ঘষে তুলে ফেলুন। ভালো ফলের জন্য সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন এই ফেইসপ্যাকটি।

গরমে কেমন ফেসিয়াল


এই গরমে ত্বক পরিষ্কার রাখতে ফেসিয়াল করাতে পারেন৷ ধুলাবালু আর রোদে ত্বকের অবস্থা নাজেহাল। ব্রণ থাকলে তো কথাই নেই। এমন দিনে বেড়ে যায় এদের উৎপাতও। এবার একটু নড়েচড়ে বসে ত্বকের বিষয়ে যত্নবান হতে হবে।

রূপবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গরমে ঘামলে ঘর্মগ্রন্থি খুলে যায়, যা ত্বকের জন্য ভালো। তবে এটাই আবার ত্বকের ক্ষতির কারণ হতে পারে; যদি সঠিক সময়ে ত্বক পরিষ্কার করা না হয়। তাই ত্বক ভালো রাখতে সঠিকভাবে পরিষ্কার করতে হবে। আর এ জন্য ফেসিয়ালের কথা আসবেই।

কিন্তু গরমে ত্বকে কোন ধরনের ফেসিয়াল করবেন, তা নিয়ে দ্বিধা দেখা যায়। এ বিষয়ে হেয়ারোবিক্স ব্রাইডালের স্বত্বাধিকারী তানজিমা শারমিন বলেন, এ সময়ে ত্বকে রোদে পোড়া ভাব বেড়ে যায়। ফলে সানবার্ন ফেসিয়াল করা ভালো। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁদের ত্বক আরও তৈলাক্ত হয়ে যায়। এ ধরনের ত্বকের জন্য হারবাল বা ভেষজ ফেসিয়াল উপযুক্ত।

বিভিন্ন রকম মৌসুমি ফল দিয়ে ফ্রুটস ফেসিয়াল করা যেতে পারে।

স্বাভাবিক ও তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা ফেসিয়াল ও অরেঞ্জ ফেসিয়াল কার্যকর।

কিউবেলার স্বত্বাধিকারী ফারজানা মুন্নী বলেন, গরমে ত্বকে পরিবর্তন আসে। ফলে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে ফেসিয়াল করতে হবে। ত্বকের ধরন বুঝে স্পা ফেসিয়াল ও আয়ুর্বেদিক ফেসিয়াল করলে উপকার পাবেন।
যাঁদের ব্রণের সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য অ্যাকনে ফেসিয়াল আছে। তবে ত্বকের সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।

গরমের দিনে সম্ভব হলে ১৫ দিন অন্তর ফেসিয়াল করবেন। তা না হলে মাসে একবার ফেসিয়াল করতে হবে।

ত্বক সুস্থ রাখতে মৌসুমি ফল ও পর্যাপ্ত পানি বেশি করে খান। (কিভাবে করবেন এসব ফেসিয়াল তা জানাতে শিঘ্রিই আসছি)

স্ট্রেচ মার্ক নির্মূল করুন সহজ ১০টি উপায়ে


ফাটা চামড়া বা স্ট্রেচ মার্কের সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। আমাদের শরীরের ত্বকে বিভিন্ন অংশে এই ফাটা দাগগুলো দেখা যায়। মূলত এই সমস্যা বাড়তি ওজনের জন্য হয়। শরীরের আয়তন যখন বেড়ে যায়, ত্বক তখন স্ট্রেচ করে বাড়তি আয়তনকে ঢাকতে। ফলে তৈরি হয় এই দাগ। আবার গর্ভ পরবর্তী সময়ে নারীদের তলপেটে চামড়ার টানজনিত কারণে এই ধরনের দাগ হয়ে থাকে। এটি ত্বকের উপরে দৃশ্যমানলাইনের মত দেখা দেয়। শরীরের বিভিন্ন অংশে যেমন- পেটের প্রাচীর, কোমর, হাত, ঘাড়, হাটুর পেছনে, উরু এমনকি বুকেও দেখা যায়। স্থুলতা তো অবশ্যই, সাথে গর্ভ ধারণের মত শারীরিক ধকল এবং শরীরে পানি ঘাটতির কারণেও হতে পারে এ ধরনের সমস্যা।

ত্বকের এই ফাটা দাগ দূরীকরণ যেন এক অসম্ভব কাজ। কিন্তু না, এখন আর অসম্ভব নয়। বরং খুব সম্ভব। কীভাবে জানতে চান?

১. গ্লাইকলিক অ্যাসিডযুক্ত বিভিন্ন বিউটি পণ্য যেমন টোনার, ক্লিনজার ও ময়শ্চারাইজার ইত্যাদি ব্যবহার করুন। এই অ্যাসিড ফাটা দাগ নির্মূলে সহায়ক ভূমিকা রাখে। ২. ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার করুন। দিনে ৩ বার ফাটা দাগের উপর ম্যাসেজ করুন। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ক্রিম না পেলে সাপ্লিমেন্টও নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্টটি দিনে ৩ বার খেতে হবে। ৩. প্রতিদিন ৩ বার ফাটা স্থানের উপর ডিমের সাদা অংশ ৫-১০ মিনিটের জন্য ম্যাসেজ করুন। যতদিন দাগটি নির্মূল না হয় ততদিন এই পদ্ধতিটি শরীরে এ্যাপ্লাই করে যাবেন। ৪. শরীরের ফাটা দাগ নির্মূলে লেবুর একটি টুকরা নিয়ে দাগের উপর ১৫ মিনিট ধরে ম্যাসেজ করুন। এতে বেশ উপকার পাওয়া যাবে। ৫. ফাটা দাগ নির্মূলে বিভিন্ন ধরণের তেল মিশিয়ে দাগের উপর প্রতিদিন ১০ মিনিট ম্যাসেজ করুন। উপকার পাওয়া যাবে। ৬. চিনি, লেবুর রস ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে তা প্রতিদিন ফাটা দাগের উপর প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট ম্যাসেজ করুন। ৭. এর জন্য আরেকটি প্রসেজ এ্যাপ্লাই করতে পারেন। এটি হল একটি আলু নিয়ে তা মোটা করে ২ টুকরা করে ফাটা দাগের উপওে কিছুক্ষণ ম্যাসেজ করুন। এর রস ভালো মত লাগলে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন স্থানটি। ৮. ঘৃতকুমারির পাতা নিয়ে এর ভেতর থেকে জেলী সদৃশ অংশটি বের করে দাগের উপরে লাগিয়ে ২ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ৯. এপ্রিকট ফলের বিচি ফেলে দিয়ে এর পেস্ট বানিয়ে দাগের উপর ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন প্রতিদিন ২ বার। ১০. প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন মাছ, ডিমের সাদা অংশ, দই, বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, তরমুজের বীজ খাবেন। এগুলো আপনার ত্বককে জলযোয়িত রাখবে। শরীরের ফাটা দাগ নির্মূলে সহায়তা করবে। তথ্যসূত্র: প্রিয় লাইফ