হয়ত আপনাদের ঘরেও ঘটছে এমন ঘটনা...।
আমার বড় ভাইয়ের ছেলেটা খেলতে গিয়ে পড়ে ব্যাথা পেয়েছে...। আমরা সব কটা ভাই বোন ছুটে গিয়ে তাকে আদর করছি আর এটা ওটা বলে তার মন ঘুরানর চেষ্টা করছি...। অল্পক্ষণ পরেই তার কান্না থেমে গেল। ব্যাথার কথা সে বেমালুম ভুলেই গেল। আমার আব্বা এই ঘটনা দেখছেন আর মিটি মিটি হাসছেন। আমরা কারন জানতে চাইলাম... তিনি একটু দম নিয়ে বললেন... তোমাদের ভাস্তে অনেক জোরে ধাক্কা খেয়ে একটু খানি ব্যাথা পেয়েছে...। তোমরা সবাই মিলে দৌড়ে গেলে...অথচ এর চে অনেক কম ধাক্কায় আমি অনেক বেশি ব্যাথা পাই...সে ব্যাথা সহজে সারেও না। কেউ ত এমন দৌড়ে আসে না। অথচ তোমাদের পাশে পেতে, এমন দু একটা সান্তনার কথা শূনতে খুব মন চায়।
তখন আমার মনে হল...আসলেই তো বুড়ো হয়ে গেলে মানুষ শিশু হয়ে যায়...। না, আসলে বুড় হয়ে গেলে মানুষ বুড়োই হয়ে যায়। শিশুদের যে সহনশক্তি থাকে তখন ওই বয়সে তা আর থাকে না। এক সময় আমরাও তো ওরকম অবস্থায় পড়ব...কি হবে তখন তা আমাদের পূর্ববর্তী জেনারেশন দের দেখেই বুঝছি। হয়ত অবস্থা আরও খারাপ হবে। কারন আমরা ৪ ভাই বোন আর আমার মাত্র একটা। আমার দাদা দাদি, ফুপু চাচা রা আমাদের সাথেই থাকতেন...।আমি থাকি একা মেয়েকে নিয়ে একটা ফ্ল্যাট এ। স্বামি ত সেই রাতেই মুখটা দেখিয়ে আবার সকালে চলে যান।
আমার আব্বা অসুস্থ হলে আমার চাচারা, ফুপুরা, মামারা, খালারা , বন্ধু এবং পাড়ার ছেলেটাও দেখতে আসে। আব্বার বন্ধু মারা গেলেন, দেখেছি আব্বা কিরকম সঙ্গি হিন হয়ে গেছেন। আমার ভাই বোনদের সাথে দেখা হয় হয়ত বছরে একবার। পাশের ফ্ল্যাট এর ভাবিকে চিনি। কিন্তু নিচতলায় কে থাকেন জানিনা। বোনের হাসবেন্ড রা ভাই না, তারা কুটুম। দেবর ননদরাও বছরে একবার দেখা দেয়।
আত্মার আত্মিয় বলতে মা বাবার পরে এমন কেউ নেই যে আমার শূন্যতায় কষ্ট পাবে। আজ আত্মিয় ঠিকই আছে কিন্তু আত্মার সাথে তাদের সম্পর্ক নেই। আমরা কি সায়েন্স ফিকশন এর সেই রোবট যাদের কোন অনুভুতি নেই?? আমাদের পরবর্তী বংশধর রাই কি সেই রোবট নামি মানুষ???
No comments:
Post a Comment