please find this
Monday, 30 June 2014
অন লাইন এ আয় করুন ঘরে বসেই...
ইন্টার নেট এ আত্ম কর্ম সংস্থান মিজানুর স্যর এর সাড়া জাগান বইটি আছে এখানে।
ওডেস্ক এ কাজ করবেন কিভাবে, কাজ পাবেন এবং শেষ করবেন কিভাবে ইত্যাদি স-অ-ব কিছু আছে এই বইটি তে।
এছাড়াও থাকছে তাফহিমুল কুরান।
এবার আসুন দেখে নেই কি কি মজার সফটওয়্যার আছে...।
আপনার ফ্রেন্ড কে গলার স্বর বদল করে চমকিয়ে দিন। এ জন্যে আছে voice changing software. ডাউনলোড করুন আর মজা দেখুন।
আপনার ফোল্ডার গুলোর মান্ধাতার আমলের চেহারা পালটে ফেলুন এই সফটওয়্যার টি দিয়ে। ইন্সটল করে যে কোন ফোল্ডার এ যান। ফোল্ডার এর উপরে মাউস রেখে ডান ক্লিক করুন, হাইলাইট ফোল্ডার এ যান। এবার পছন্দ মত রঙ দিন ফল্ডার এ।
স্কেচ করুন যে কোন ছবিকে। আপনার পছন্দ মত। এই সফটওয়ার দিয়ে। ডাউনলোড করুন যে কোন ভিডিও ও মুভি ইউ টিউব থেকে একদম সহজে...এটা আমিও করছি...
নিয়ে নিন ফটো শপ সি এস ৬ একদম ফ্রী তে... আছে নোট প্যাড, পিকাসা(Google Photoshop), পি ডি এফ ২ ওয়ার্ড সফটওয়ার ... সব কিছুই একদম ফ্রী ।
আছে অনেক গেম। মন্টেজুমা, রেস, মটরসাইকেল রেস, কার রেস, স্টার ডিফেন্ডার ৪, সারপেন্টাইন, আর অনেক কিছু... শুধু ডাউনলোড করুন, সামান্য কিছু মেগা বাইট, এবং মেতে উঠুন আনন্দে......।!!!!!!
True Money Making!!!!
Bc.Vc Review with Payment Proof
What is Bc.Vc
How to Earn Money with Bc.vc

- Creating Short URLs.
- By Referring.
- Using Bc.Vc codes on Your Web site or Blogs.
Bc.Vc Payment Proof
![]() |
Bc.Vc Payment Proof |
From The Editor
রমজানেও পরিপাটি রাখুন নিজেকে
Wednesday, 25 June 2014
সানন্দা: আকর্ষণীয় ফিগার পেতে কিছু সহজ উপায়
আকর্ষণীয় ফিগার পেতে কিছু সহজ উপায়
ফিটনেস সেন্টার
শরীর চর্চা বা ব্যায়াম বললেই, অনেকে বোঝেন ফিটনেস সেন্টারে গিয়ে বিভিন্ন যন্ত্র বা প্রশিক্ষকের সাহায্যে দৈহিক সৌন্দর্য বাড়ানোর কিছু নিয়মকানুন৷ কিন্তু ফিটনেস সেন্টারে যাতায়াত এবং ব্যায়াম করার জন্য যে সময়ের প্রয়োজন৷ তাই সুন্দর ফিগার চাইলেও চাকরি, সংসার, ঘরের নানা কাজ ফেলে নিয়ম করে ফিটনেস সেন্টারের জন্য সময় খরচ করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না৷ঘরের মেঝে মোছা
অথচ ঘরের কাজগুলো যদি নিজেই নিয়ম করে ঠিকমতো করে ফেলা যায়, তাহলে কিন্তু দুটোই সম্ভব৷ অর্থাৎ বাড়ি-ঘর পরিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে তা একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকরও হলো, আবার শরীরও সুন্দর হলো৷ বিশেষ করে মেঝে বা সিঁড়ি মুছতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই পেটে প্রচণ্ড চাপ পড়ে, ফলে পেটের মেদ সহজেই কমে যায়৷ নিয়ম করে মেঝে মুছলে পেট মসৃণ হয় আর কোমরের আকারও হয় সুন্দর৷জানালা পরিষ্কার
জানালার গ্লাস পরিষ্কার করতে গেলে হাত বার বার ওপরে-নীচে নামাতে তো হয়ই, এতে শরীরের অন্যান্য অঙ্গেরও নাড়াচাড়া হয়৷ কাজেই জানালা পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি হাতের মাংসপেশী শক্ত হয় ও শরীরের বাড়তি মেদ কমে৷ বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকের হাতের মাংসপেশী খানিকটা ঝুলে পড়ে, যা হাতের এই ব্যায়ামের মাধ্যমে কমানো সম্ভব৷দাড়িয়ে ঘরের কাজ
আগেকার দিনে মেয়েরা রান্না ঘরের সব কাজ বসে বসেই করতো৷ বসে কাজ করলে কেবল একটি কাজই করা যায়৷ কিন্তু দাড়িয়ে কাজ করলে একই সাথে রান্না, বাসন ধোয়া, কাটাকুটি এবং রান্নাঘরের অন্যান্য কাজও করা সম্ভব৷ এতে খানিকটা হাঁটাহাটির ফলে পায়েরও কিছুটা ব্যায়াম হয় এবং হাড় শক্ত থাকে৷ সঙ্গে সঙ্গে শরীরের মেদও জমতে পারে না সহজে৷যন্ত্রপাতি পরিষ্কার রাখা
শরীরের সৌন্দর্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা বা বাধা মোটা পেট বা ভুড়ি, যা খুবই দ্রুতগতিতে বাড়ে৷ মেঝেতে বসে কাপড় কাঁচলে বা আধা বসা অবস্থায় কাপড় ধোয়ার মেসিন ব্যবহার করলে বা সেটা পরিষ্কার করলে পেটে চাপ পড়ে৷ নিয়মিত এ ধরনের কাজ করলে পেটে চর্বি জমে কম৷ এতে নিজেকে মেদহীন দেখতে যেমন সুন্দর লাগে, অন্যদিকে যন্ত্রপাতি পরিষ্কার রাখার ফলে সেগুলোর আয়ুও বাড়ে৷গাড়ি নিজেই পরিষ্কার করুন
আজকের ব্যস্ত জীবনে গাড়ির প্রয়োজন যেমন অনেক, তেমনি অনেকের আবার গাড়ির সখও কম নয়! তাই সখের মূল্যবান জিনিসটিকে ‘কারওয়াশ’-এ না দিয়ে বা ড্রাইভারকে ধুতে না বলে নিজেই ধুয়ে ফেলুন! এতে গাড়িটাও ঝকঝকে সুন্দর হবে, আবার নিজের শরীরটাও ফিট থাকবে৷ তখন দেখবেন যে কোনো আধুনিক পোশাকে নিজেকে কেমন স্মার্ট আর আকর্ষণীয় লাগছে!বাগান করা
বাগান করা একটি সখের ব্যাপার৷ এ কাজটি ভালোভাবে করতে, অর্থাৎ শাক-সবজি, ফল আর সুন্দর ফুল ফোটাতে শরীরের বেশ পরিশ্রম হয়৷ বাগানপ্রেমীদের মেদহীন সুন্দর শরীর দেখেও অবশ্য তা বোঝা যায়৷ তাছাড়া বাগানপ্রেমীদের প্রকৃতির সাথেও থাকে নিবিড় সম্পর্ক৷ ফলে শরীর এবং মন দুটোই ভালো রাখতে সাহায্য করে বাগান৷পরিবেশবান্ধব বাগান
জার্মানিতে বহুদিন থেকেই বাগান কেনা বা ভাড়া নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে৷ যাঁরা ফ্ল্যাট বাড়িতে থাকেন, তাঁদের অনেকেই ফ্ল্যাটের কাছাকাছি কোথাও এ রকম বাগান করে থাকেন৷ ইদানীং কোনো কোনো অঞ্চলে পরিবেশ রক্ষায় মানুষকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিনে পয়সায়ও কিছু জমির খানিকটা অংশ কিছুদিনের জন্য দেওয়া হয়৷ এতে অবশ্য শর্ত থাকে যে, সেখানে শুধুমাত্র নিজেদের খাওয়ার জন্য প্রাকৃতিক উপায়ে শাক-সবজি বা ফলের চাষ করতে যেতে পারে৷ছোট থেকেই অভ্যাস গড়ে তোলা
এশিয়ার দেশগুলোতে গৃহিনীরা ‘কাজের লোক’ বা গৃহক্রমী দিয়ে ঘরের কাজ করাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন৷ যদিও এ কাজটি করানোও সবসময় একেবারে সহজ নয়৷ তবে যাঁরা কাজের লোক না রেখে ছোটবেলা থেকে ঘরের কাজ বা নিজের কাজ নিজে করায় অভ্যস্ত হন, তাঁদের শরীরের গঠন ছোট থেকেই হয়ে ওঠে সুন্দর৷কাজের পর বিশ্রামও চাই
উপুড় হয়ে বাথটবটি নিজে হাতে ভালো করে পরিষ্কার করতে যে বেশ কিছুটা ক্যালোরি খরচ হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই৷ স্বাভাবিকভাবেই তারপর যে কেউ কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়বেন, তাই না? ঝকঝকে সুন্দর বাথটবে পানি ভর্তি করে এতে ঢেলে দিন সুগন্ধী তরল সাবান৷ এবার নেমে পড়ুন পানিতে৷ আধঘণ্টা পর পানি থেকে উঠে শরীরটাকে মনে হবে একেবারে হালকা আর মনটা দারুণ ফুরফুরে!ঘরের কাজ করুন, সুন্দর থাকুন!
নিয়মিত যে কোনোভাবে শরীরচর্চা করলে অবশ্যই তার ফল পাওয়া যায়৷ আর তাই সুন্দর ফিগারের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয় না৷ স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে একটু সচেতনতা আর পাশাপশি কিছুটা হাঁটাহাটি বা বাড়ির কাজই করে দেবে যে কেউকে সুন্দর ফিগারের অধিকারী৷(অনুগ্রহ করে আমাদের এড এ ক্লিক করে উৎসাহিত করুন)
Saturday, 21 June 2014
বিয়ের সাতকাহন
বিয়ের আগে মানসিক প্রস্তুতি
বিয়ে মানেই নানা ধরনের প্রস্তুতি। আয়োজন চলতে থাকে দিনের পর দিন। এসব প্রস্তুতির তোড়জোরে হয়তো বর-কনের মনের খবর জানার অবকাশ হয় না। অনুষ্ঠান আয়োজন কিংবা আনুষঙ্গিক বিষয়ে আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এসবের সঙ্গে যে বর-কনের মানসিক প্রস্তুতির দরকার হয়, তা অনেকেই জানেন না।
‘প্রয়োজনীয় অনেক বিষয়ে আমরা আগেভাগে প্রস্তুতি নিই। কিন্তু বিয়ের মতো বিষয়ে ছেলেমেয়ের আগাম কোনো মানসিক প্রস্তুতি থাকে না। নানাভাবে বিয়ে হয়। পারিবারিকভাবে আয়োজিত, যেখানে হয়তো ছেলেমেয়ে পরস্পরকে জানার সুুযোগ হয় না। আবার প্রেমের বিয়ে পরবর্তী সময় সেটি হয়তো পরিবারের সম্মতিতেই হয়। এ ধরনের বিয়েতে অভিভাবকেরা মনে করেন, যেহেতু তারা পূর্বপরিচিত, তাই নতুন করে প্রস্তুতির দরকার কী। এ ধারণা ঠিক নয়।’ বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক দিলরুবা আফরোজ।
‘
যতই চেনাজানা হোক না কেন, বিয়ের পর বাস্তব জীবনের মুখোমুখি হতে হয়। তখন স্বপ্ন ভেঙে যায় কারও কারও। তাই বিয়ের আগে থেকে রোমান্টিকতার পাশাপাশি বাস্তবিক চিন্তাগুলোও করতে হবে। মেয়ে বা ছেলে আগে থেকেই বুঝবে না। তাই মা কিংবা কাছের অভিজ্ঞ কেউ তাকে ইতিবাচকভাবে জীবনের বাস্তবতা বুঝিয়ে বলতে পারে। ছেলেমেয়ে দুজনকেই পরস্পরের পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে চলার মানসিকতা থাকতে হবে। তা হলে দাম্পত্য জীবনে অনেক সমস্যা এড়িয়ে চলা যাবে।
নিজের, পরিবার ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববান হতে হবে। নিজের স্বভাবের কোনো নেতিবাচক দিক থাকলে সেগুলো সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে। নিজের সব দিক বিয়ের আগে উভয়ের আলোচনা করলে বোঝাপড়ার শুরুটা ভালো হবে। এটিও ঠিক যে একেকজনের জীবনযাপন একেকভাবে নির্ধারিত হয়। পারিপার্শ্বিকতার ভিন্নতা থাকে।
প্রতিটি পরিবারের আলাদা নিয়মকানুন, আচার-ব্যবহার থাকে। সেসব আগে থেকে একটু জানলে পরবর্তী সময় নতুন সদস্যের বুঝতে সহজ হয়। এসব ক্ষেত্রে শুধু মেয়েরাই মানিয়ে চলবে, তা নয়। ছেলেটিকেই বরং সহযোগিতাপরায়ণ হতে হবে। মেয়েটি সব ছেড়ে তাদের পরিবারে আসছে। ছেলেটির পরিবারকে এ বিষয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। ছেলেকে বোঝাতে হবে সামান্য বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া না করতে। যেকোনো সমস্যা হলে তারা যেন খোলাখুলি আলোচনা করে নেয়। শাশুড়ি নিয়ে অনেক মেয়ের মনে শঙ্কা থাকে। বিয়ের আগে সুযোগ থাকলে মেয়ের সঙ্গে ছেলের পরিবার কথা বলে নিতে পারে। তবে শুরুতেই মেয়েকে নেতিবাচক কোনো বিষয় বলা উচিত নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের মনোবিজ্ঞানী তামিমা তানজিন বলেন, আসলে মানসিক প্রস্তুতিটা নেওয়া দরকার বিয়ে-পরবর্তী জীবনে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য। শুধু মানসিক নয়, শারীরিক প্রস্তুতিটাও নিতে হবে। দাম্পত্য জীবনে শারীরিক সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। কাছের কেউ বা চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া যেতে পারে। ছেলের বিয়ের আগেই পরিবারের সদস্যদের মন-মানসিকতায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। ছেলের স্ত্রীকে নিয়ে তাঁরা যেন উচ্চাকাঙ্ক্ষী না হন। এমনকি ছেলেরও উচ্চাকাঙ্ক্ষী হওয়া উচিত নয়। অনেক সময় কল্পনা আর বাস্তবতা মিলে যায় না। তখন সমস্যার সৃষ্টি হয়। একটু সচেতন, সহযোগিতাপরায়ণ ও বোঝাপড়া ভালো হলে দাম্পত্য জীবন সুন্দর হতে বাধ্য। এটি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
বিয়ের আগের প্রস্তুতি
বিয়ের প্রজাপতি এরই মধ্যে যাঁদের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছে, তাঁরা ধরেই নিন বিয়ের ফুল এই ফুটল বলে! বিয়ের দিনটায় নিজের সেরা রূপে হাজির হতে চাইলে এখন থেকেই চাই প্রস্তুতি। সুষম খাবার, দিনের কিছুটা সময় একটু হালকা ব্যায়াম আর একটা রূপ রুটিন...ব্যস, এতেই যথেষ্ট।
খাবারটা সুষম
সুষম খাবার হচ্ছে তা-ই, যাতে খাদ্যের সব পুষ্টিগুণ বিদ্যমান থাকে। বিয়ে বিষয়টা যেমন আনন্দের, তেমনি খানিকটা ভয়েরও বটে। নতুন জীবনের শুরুটা নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকেন। আবার অনেকেরই বিয়ের বাজারে ঘুরতে ঘুরতে খাওয়া ঠিকমতো হয়ে ওঠে না। এর খুব খারাপ প্রভাব পড়তে পারে আমাদের শরীরে। সুস্থতার পাশাপাশি বাহ্যিক সৌন্দর্যটাও আসে ভেতর থেকেই। এ সময়ে ছেলেমেয়ে উভয়কেই একটি সুষম ডায়েট মেনে চলার পরামর্শ দেন বারডেমের পুষ্টি বিভাগীয় প্রধান আখতারুন নাহার আলো।
প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় যেকোনো একটা শাক রাখুন। রক্তস্বল্পতার জন্য লালশাক, ক্যালসিয়ামের ঘাটতিজনিত সমস্যায় সরিষার শাক খুব ভালো। কম তেলে সহজ পাচ্য যেন হয় সব রান্না। শরীর ঠান্ডা রাখতে লাউ, গাজর, টমেটো, শসা, লেটুসপাতা কাঁচা খেতে পারেন। এতে ত্বক ভালো থাকবে। বাঁধাকপি দিয়ে পায়েস করে খেতে পারেন অথবা ফুলকপি, বিট, বাঁধাকপি—সব সবজি মিলিয়ে একটা স্যুপ করেও খেতে পারেন। প্রতিদিন একটা কমলা খান। এতে দাঁত আর চুলের উপকার হবে, খেতে পারেন আমলকী। আর ভাত, মাছ, ডাল প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা থেকে কোনোভাবেই যেন বাদ না পড়ে। বিয়ের আগে ছেলেমেয়ে অনেকেই ওজন কমানোর জন্য একেবারে খাবার-দাবার ছেড়ে দেন। এটি ক্ষতিকর। ডায়েট মানে না খেয়ে থাকা নয়। যাঁরা ওজন কমাতে চান অথবা যে ওজনটি আছে, সেটি আর না বাড়াতে চান, তাঁরা ডুবো তেলে ভাজা খাবার, ফাস্টফুড, মিষ্টি খাবার ও সোডাজাতীয় পানীয়গুলো খাওয়া ছেড়ে দিন। চিনি ও দুধ ছাড়া সবুজ চা খেতে অভ্যস্ত হয়ে যান। যাঁদের ওজনটা মনে হচ্ছে একটু বেশিই বেড়ে গেছে, তাঁরা একজন ভালো পুষ্টিবিদের কাছ থেকে একটা ডায়েট চার্টও করিয়ে নিতে পারেন।
সুস্থতায় ব্যায়াম...
মানসিক চাপ কমাতেও ব্যায়ামের মতো কাজের বিকল্প আর নেই। বলছিলেন পারসোনা হেলথের হেড অব জিম তানজিনা চৌধুরী। যেকোনো বিষয় নিয়ে যাঁরা একটু বেশি মানসিক চাপে থাকেন, তাঁদের জন্য তানজিনা চৌধুরীর পরামর্শ হচ্ছে ইয়োগা চর্চা করার। যাঁরা স্বল্প গড়নের দেহের অধিকারী, তাঁরা অ্যারোবিক্সও করতে পারেন। চোখ বন্ধ করে নাচের তালে তালে এ ব্যায়াম মানসিক চাপ কমানোর পাশাপাশি শরীরের বাড়তি ওজন কমাতেও কার্যকর। আপনি চাইলে সিডি কিনে বাসায় নিজেও ব্যায়ামটি করতে পারেন।
যাঁরা একটু ভারী গড়নের, তাঁরা যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে অবশ্যই জিম বেছে নিন। ক্যালরি পোড়ানো, ওজন কমানো, পেশির শক্তি বাড়ানো—এ তিনটি ক্ষেত্রেই ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্য জিম ভালো কাজে দেয়। যাঁদের স্বাস্থ্যসম্পর্কিত জটিলতা রয়েছে, তাঁরা প্রতিদিন এক ঘণ্টা হাঁটতে পারেন জিমের পরিবর্তে। যাঁরা জিম করবেন, তাঁরা অবশ্যই তিন থেকে চার মাস প্রস্তুতির সময় রাখুন হাতে।
প্রতিদিনের রূপ রুটিন
বিয়ের কথাবার্তা চলার শুরু থেকেই প্রতিদিনের রূপ রুটিন চর্চাটা ছেলেমেয়ে উভয়ের জন্যই জরুরি। এমনটাই মনে করেন রেড বিউটি স্যালনের রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা কামাল। আপনার জন্য রইল কিছু রূপ পরামর্শ—
ছেলেমেয়ে উভয়েই চুলের একটা নতুন কাট বেছে নিতে পারেন। কারণ, বৈচিত্র্যই হচ্ছে সৌন্দর্য। তবে অবশ্যই সেটি যেন বিয়ের দুই মাস আগে থেকে হয়। আর বিয়ের এক সপ্তাহ আগে শেষ একটা ছাঁট দিয়ে নিন।
নিজেকে আয়নায় খুঁটিয়ে দেখুন। ত্বকে ছোপ ছোপ দাগ, ব্রণ, চোখের নিচে কালির মধ্যে কোনোটি যদি হয় আপনার সমস্যা, তবে অবশ্যই সমস্যা অনুযায়ী ফেসিয়াল নিন। চেষ্টা করুন বিয়ের দুই মাস আগে থেকেই ফেসিয়াল নেওয়ার।
যাঁরা চুলের রঙে বৈচিত্র্য আনতে চান, তাঁরা হুট করে হালকা রং বা হাইলাইটে যাবেন না; বরং চুলের জন্য এমন কোনো রং বেছে নিন, যেটি আপনার কালো চুলের মধ্যে আলাদা দ্যুতি ছড়াবে।
বছরের এ সময়ে ত্বক রুক্ষ হয়ে ওঠে। তাই সবার আগে গুরুত্ব দিন আপনার ত্বকের ময়েশ্চারাইজারের দিকে।
হাত ও পায়ের সৌন্দর্যটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বর-কনে দুজনের ক্ষেত্রেই। তাই অবশ্যই এক মাস আগে থেকে মেনিকিউর ও পেডিকিউরটা নিয়মিত করে নিন।
মেয়েরা অবশ্যই হাত, মুখের ওয়াক্সিং করিয়ে নিন বিয়ের এক সপ্তাহ আগে। হাতে লোম থাকলে আপনাকে মেহেদি পরলে ভালো দেখাবে না। মুখমণ্ডলের লোম বিয়ের দিনের মেকআপের জন্যও সমস্যার সৃষ্টি করে।
শরীরের বিভিন্ন অংশে অনেকেরই কালো দাগ থাকতে পারে। তাঁরা অবশ্যই দুই থেকে তিনটা স্ক্রাবিং ম্যাসাজ নিয়ে নিন বিয়ের আগে।
ঘরে বসেও করতে পারেন আপনার রূপচর্চা। ত্বকের জন্য চালের গুঁড়া, মুলতানি মাটি ও শসার রস অনেক ভালো স্ক্রাবার। তিনটি একসঙ্গে মিশিয়ে গোসলের আগে শরীরে ম্যাসাজ করে গরম পানিতে গোসল করে নিন।
চুলে গরম তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। চুলের সবচেয়ে ভালো প্যাক হলো পাকা কলা ও পাকা পেঁপে। এর সঙ্গে টকদই মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন।
বর-কনে উভয়েই সম্ভব হলে একটা বডি ম্যাসাজ নিয়ে নিন বিয়ের দুই থেকে তিন দিন আগে।
আর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন। ওটা বাড়াবে আপনার ব্যক্তিত্বের সৌন্দর্য। এবার আর মেকআপের আড়ালে লুকাতে হবে না আপনাকে।
কোথায় সাজবেন বিয়ের সাজ?
শীত আসতেই বিয়ের মৌসুম শুরু হয়ে যায়। বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছেন,তবে এটাও নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝে গিয়েছেন যে বিয়ের পরিকল্পনা করা অনেক সময়ের ব্যাপার। আর সব পরিকল্পনা যাতে যথার্থভাবে বাস্তবায়িত হয় সেজন্য বেশিরভাগ মেয়েই থাকে অনেক টেনশনে। তাই মেকআপটা এমন হওয়া জরুরি যাতে পুরোপুরি ঢেকে যায় টেনশনের ছাপ। বিয়ের দিন সবচেয়ে সুন্দর ও আকর্ষণীয়ভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করতে কোন মেয়েই না চায়? আর কোথায় সাজলে সবচেয়ে ভালো দেখাবে তা নিয়েও থাকে দুশ্চিন্তা। তাই জেনে নেয়া যাক ঢাকার কিছু পার্লারের খুঁটিনাটি।
রেড বিউটি স্যালুন:
শৈশব থেকেই তার অন্যদের সাজানোর প্রতি খুব ঝোঁক ছিল। ক্লাস ফাইভে থাকতেই পাশের বাসার এক বিয়েতে কনে সাজালেন প্রথমবার। সেই শুরু। এখন তো পুরোদস্তুর বিউটি এক্সপার্ট। তিনি রেড বিউটি স্যালুনের কর্ণধার আফরোজা পারভীন। মানুষের মনের সৌন্দর্য্যকে বাইরের আবরণের সাথে মিলিয়ে দেয়াই তার কাজ।আর এই খেলায় চূড়ান্ত আনন্দ পান ব্রাইডাল মেক আপের মাধ্যমে। ঢাকার বনানী ৭ নং রোডে অবস্থিত রেড বিউটি স্যালুনের কর্ণধার আফরোজা কামালের কাছে ব্রাইডাল মেকাপ শুরু ১৮০০০ থেকে। তাছাড়া রেডের পার্টি মেকাপ ১০০০-৪০০০ এর মধ্যে রয়েছে। ব্রাইডাল মেক-আপ ৮০০০-১৫০০০ এর ভেতরে। রেড এর মুনিরা, শিউলি, নাজমা অনেক ভালো মেক-আপ আর্টিস্ট। ঠিকানাঃ বাড়ী# ৩৯,রোড নং# ৭,ব্লক জি,বনানী, ঢাকা -১২১৩ যোগাযোগঃ ৯৮৭২২৯৩
জাহিদ খান মেকওভারঃ
গুলশান নিকেতনে অবস্থিত জাহিদ খান মেকওভার এখন বেশ পরিচিত সবার কাছে।জাহিদ খান মেকওভারের উদ্যোক্তা জাহিদ খান নিজেই কনে সাজিয়ে থাকেন।কনে সাজাতে খরচ পরবে ৮০০০ টাকা থেকে ২০০০০ টাকা পর্যন্ত।সাজ যতটা ভারি হবে খরচটাও ততটা বাড়বে। যোগাযোগঃ ০১৯২২২২২৭৫০
শীলাজ মেকওভারঃ
ফ্রান্সের প্রশিক্ষক বিউটি আর্টিস্টের কাছে কাজ শিখে অভিনয়শিল্পী শারমিন শীলা নিজের হাতেই গড়েছেন শীলাজ মেকওভার। শীলাজ মেকওভারকে তিনি তার কাজের তৃপ্তির উৎস বলে মনে করেন।আর ব্রাইডাল তার স্পেশালিটি,নিজেই তা মনে করেন। যে মানুষটির বিয়ে তার ভালোলাগা,নতুন আনন্দের শিহরণ শীলাকেও স্পর্শ করে যায়।আর সেই ভালবাসা থেকেই তিনি ব্রাইড সাজান। নতুন বউ হয়ে উঠা মেয়েটির আনন্দের মাত্রা বাড়াতে শীলা ব্রাইডাল মেকআপে সর্বচ্চ চেষ্টা করে থাকেন। বিয়ের মৌসুমে ব্রাইডদের আকর্ষণীয় ব্রাইডাল প্যাকেজ শীলাজ মেকওভার। গ্রাহকের সুবিধা অনুযায়ী ৬ থেকে ২০ হাজার টাকায় সাজানো হয়েছে বিভিন্ন ব্রাইডাল প্যাকেজ। ঠিকানাঃ বাড়ী #১৫,সেক্টর# ১৩,উত্তরা,ঢাকা যোগাযোগঃ ০১৭১৪২৫০৮১৮৭
কিউবেলাঃ
নিজের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে ফারজানা আরমান মুন্নি কিউবেলাকে নিয়ে যাত্রা শুরু করেন ।আজ সেটি ৮ হাজার স্কয়ার ফিটের একটি স্যালুনে পূর্ণতা পেয়েছে। কর্ণধার ফারজানা আরমানের কাছে সাজলে খরচ পড়বে ১০ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকা। অন্যান্য রূপসজ্জাশিল্পীর কাছে সাত হাজার থেকে তিন হাজার টাকায় সাজা যাবে। চাইলে অন্য বিয়ে-পূর্ব সেবাগুলো প্যাকেজ আকারে গ্রহণ করা যাবে। কনে শিক্ষার্থী হলে কিছু মূল্যছাড়ের সুযোগ থাকছে আলোচনা সাপেক্ষে।কিউবেলাতে ১৬ জন মেকাপ আর্টিস্ট আছে।দিনে মুন্নী নিজে ৪ জন বউ সাজান। ঠিকানাঃ রোড # ১৩, বাড়ী# ৭,বারিধারা, ঢাকা-১২১২ যোগাযোগ: ৯১১৪১২৩
লা-বেলেঃ
কর্ণধার সাদিয়া মঈনের কাছে বউসাজ ১০ হাজার টাকা।সিনিয়র রূপসজ্জাশিল্পীর কাছে আট হাজার টাকা। হলুদ, বিয়ে ও বউভাত প্যাকেজের বুকিংয়ে দ্বিতীয় অনুষ্ঠানের দিনে কনের একজন সঙ্গীর চোখসাজ বিনামূল্যে। কনের সঙ্গে চারজন সাজলে আরেকজনের সাজ বিনামূল্যে। কনের মেহেদির সঙ্গে মেনিকিওর ও পেডিকিওর ফ্রি। যোগাযোগ: ৮৮১৫৯৭৪।
বিয়ের সাজে ফুল
হলুদ গাঁদা আর লাল গোলাপ, সঙ্গে সুই-সুতার গাঁথুনি। তৈরি করা হতো গায়ে হলুদের গহনা। ফুল ছাড়া এ অনুষ্ঠান যেন অসম্পূর্ণ। এখন ফুলের ব্যবহারে বৈচিত্র্য এলেও এর আবেদন কমেনি। কনের হলুদের গহনা যে ফুলেরই হতে হবে। তবে, গাঁদা বা গোলাপের পাশাপাশি আরো অনেক নতুন ফুল দিয়ে এখন গহনা তৈরি হচ্ছে।
ফুলের গহনা
রূপ বিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান মনে করেন, এখন মানুষের মধ্যে পরিমিতিবোধ এসেছে। কী দিয়ে সাজলে নিজেকে মানাবে, তা তারা জানে।
খুব বেশি ফুল দিয়ে না সেজে অল্পের মধ্যে নিজেকে সাজাতে চায়। সে কারণে গায়ে হলুদের শাড়ি কেনার পর ঠিক করতে হবে, কোন ফুল দিয়ে আপনি সাজবেন।
আগে শুধু গাঁদা, গোলাপ আর রজনীগন্ধা দিয়ে কনেকে সাজানো হতো। এখন নানা ধরনের দেশি-বিদেশি ফুল বাজারে পাওয়া যায়। সেসব দিয়ে নিজেকে সাজায় মেয়েরা। এজন্য প্রথমে দেখতে হবে, শাড়িটা কোন উপাদানের।
সুতির শাড়ি হলে ছোট আকারের গহনা পরতে হবে। এ ক্ষেত্রে কাঠবেলি, ছোট চন্দ্রমলিস্নকা (ফুল বিক্রেতার কাছে এটি পমপম নামে পরিচিত), কাঠগোলাপ, অর্কিড ব্যবহার করা যেতে পারে।
যাদের মুখ ছোট, তাদের শাড়ি যদি শিফন, জামদানি হয় তা হলে বড় আকারের গহনা পরা যেতে পারে। জারবেরা, ক্যালান্ডুলা ফুলের গহনা তাদের মানাবে। কনের গলা খাটো হলে ঝোলানো বড় মালা পরতে হবে।
আর লম্বা গলা যাদের, তারা চিক আকৃতির একটা মালা পরে সীতাহারের মতো আরেকটা বড় মালা পরতে পারে। ছোট কাঠবেলি দিয়ে দু-তিন লহরের সিঁথিপাটি করা যায়। ফুলের গহনার সঙ্গে নানা বিডস আর কৃত্রিম ফুলের ব্যবহারও রয়েছে।
হাতাকাটা বস্নাউজ পরলে ফুলের বাজু পরতে হবে।
লাল রঙের শাড়ি হলে কাঠবেলি, চন্দ্রমলিস্নকা ব্যবহার করা যেতে পারে।
যেহেতু ফুলের আধিক্য বেশি থাকে, তাই গায়ে হলুদের সাজটা হালকা হতে হবে। তা না হলে সি্নগ্ধতা কমে যাবে। হালকা মেকআপ মুখে ব্যবহার করতে হবে। হাতের আঙুলে লাল রঙের স্টিক, ফেব্রিক বা আলতা ব্যবহার করা যায়। খেয়াল রাখতে হবে, পুরো সাজে যেন হলুদের আভাটা থাকে।
কোথায় পাবেন
ফুলের গহনা তৈরি করার কথা ভাবলে প্রথমেই মনে আসে_ঢাকার শাহবাগের ফুলের দোকানের কথা। নানা ধরনের ফুল দিয়ে নকশা তৈরি করে থাকে তারা। এখানকার হূদয় পুষ্পকেন্দ্রের স্বত্বাধিকারী ফরিদ জানান, গাঁদার পাশাপাশি জারবেরা, হলুদ ক্যালান্ডুলা, চন্দ্রমলিস্নকা (পমপম), কাঠবেলির চাহিদা বেশি। ফুল ও গহনার নকশার ওপর দাম নির্ভর করে। তবে ১২০০-২০০০ টাকার মধ্যে গহনা তৈরি করা যায়। এসবের পাশাপাশি অনেকেই আসেন কৃত্রিম ফুল, বিডস আর পুঁতির তৈরি হলুদের গহনার জন্য। এর দাম একটু বেশি হয়ে থাকে। অনেক সময় প্রাকৃতিক ফুলের সঙ্গে অনেকে বিডস, কৃত্রিম ফুল ব্যবহার করতে বলেন। ক্রেতা যেভাবে চায়, সেভাবে করার চেষ্টা করা হয়। এ ছাড়া কাঁটাবন এবং নগরের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ওঠা ফুলের দোকানগুলোতে আপনি অর্ডার দিতে পারবেন। যেহেতু এটা বিয়ের মৌসুম, তাই অন্তত চারদিন আগে ফুলের গহনার অর্ডার দিতে হবে।
স্মৃতি ধরে রাখুন
বিয়ে বোধকরি মানুষের আদিমতম ও সবচেয়ে সচল একটি মানবিক প্রয়োজন, যা পরিবার নামক প্রতিষ্ঠানটিকে সবচেয়ে সংহতি দেয় এবং তৈরি করে বন্ধন। তাই এ আয়োজনে থাকবে উৎসব মুখরতা_ এ যেন এক চিরায়ত প্রথা। তাই বিয়ের দিনের স্মৃতি ধরে রাখতে চায় প্রত্যেকেই। কিছু মধুর মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি থাকলে শেষ জীবনে তা এনে দিতে পারে প্রশান্তি আর স্মৃতি রোমন্থনের আয়েশ। তাই বিয়ের সময়কার মুহূর্তগুলোকে ছবি বা ভিডিওর মাধ্যমে ডিজিটাল বলয়ে বন্দি করতে পারলেঃ
ওয়েডিং ডায়েরির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা আলোকচিত্রী প্রীত রেজা। তিনি বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে ছবি তোলার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
জেনে নিন এমন কিছু পরামর্শ
বর বা কনের পোশাক যেন উজ্জ্বল রঙের হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে।
বর বা কনের পোশাকের সঙ্গে স্টেজ বা ব্যাকগ্রাউন্ডের রঙ যেন মিলে না যায়। এতে ছবি ভালোমতো ফুটবে।
বিয়ের অনুষ্ঠানে আলোর ব্যবস্থা ভালো হতে হবে।
যে আলোকচিত্রীকে দিয়ে ছবি তোলাবেন, তার সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলে নিন। প্রয়োজনে তার তোলা আগের ছবি ও অভিজ্ঞতা যাচাই করে দেখতে পারেন।
বিয়ে বাড়িতে যারা ছবি তুলছেন, তাদের সমস্যা হলে তা জেনে নিন ও তা সমাধান করার ব্যবস্থা করুন।
একটা পুরো দল কাজ করলে ভালো হয়। এতে আলোকচিত্রীরা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করতে পারেন।
দক্ষ আলোকচিত্রী নির্বাচন করার পর বিয়ের কয়েক দিন আগেই তার সঙ্গে দিনক্ষণ নিয়ে কথা চূড়ান্ত করে নিন।
বিয়ের ছবি তোলার সঙ্গে সঙ্গে এসব ছবি সম্পাদন করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আলোকচিত্রী সাফাওয়াত খান বলেন, ছবি সম্পাদন করাও ফটোগ্রাফির একটি বিশেষ অংশ। বিশেষ করে ডিজিটাল মাধ্যম হওয়ার পর এ দিকটি ছবিতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এতে ছবির নান্দনিকতা বেড়ে যায় অনেক গুণ। তবে আলোকচিত্রী নিজেই যদি ছবি সম্পাদন করতে পারেন, তা হলে ভালো হয়। এতে আলোকচিত্রীর চিন্তা-ভাবনার বহিঃপ্রকাশ ভালোমতো হয় বলে জানান সাফাওয়াত খান।
খরচ
বিয়ের ছবিগুলো আলোকচিত্রীরা শিফট গুনে করে থাকেন। তবে বিয়ের সময় তিন-চার ঘণ্টা ছবি তুলতে খরচ পড়বে ৩ থেকে ১২ হাজার টাকা। বিয়ের সারা দিন পুরো অনুষ্ঠানের ছবি তুলতে খরচ পড়বে ৬ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া আরো বড় পরিসরে একাধিক চিত্রগ্রাহক দিয়ে ছবি তুলতে খরচ পড়বে ১০ থেকে ১৮ হাজার টাকা। অনুষ্ঠানে যদি ভিডিও করতে চান, তা হলে ভিডিও সম্পাদনাসহ খরচ পড়বে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। বিভিন্ন সময় বর-কনে বিয়ের পর আলাদাভাবে স্টুডিওতে গিয়ে ছবি তুলতে চাইলে খরচ পড়বে ৭ থেকে ২০ হাজার টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণের ছবি তুলতে পারেন, এতে খরচ পড়বে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। বিয়ের ছবি তোলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সাধারণত ১০০টি ছবি অ্যালবামসহ প্রিন্ট করে দেয় ও বাকি ছবি ডিভিডিতে রাইট করে দেয়। তবে আপনার চাহিদা আরো বেশি থাকলে সে ক্ষেত্রে দামের কিছুটা হেরফের হতে পারে। এখন অনেকেই ডিজিটাল ডায়েরি বা ফটোবুকে ছবি সেট করে নেন।
ওয়েডিং ডায়েরি:০১৯২৪-২৭৭২৭৭
আশীষ সেনগুপ্ত ফটোগ্রাফি : ০১৭১১৫৩৮৬১৯
ওয়েডিং চ্যাপেল :০১৭১৬-৪৮০৫০৩
আবু নাসের :০১৭১১২০৯৬৫৬
রুদ্র ইউসুফ :০১৭১৭৭৪০১৫৬
এক্সপোজার : ০১৭১৫-৯১১১৮৮
ক্লিক আই : ০১৭১৩-১৪৮২৮২
তাহের মানিক ফটোগ্রাফি : ০১৭১৪-২২২২০২
ভিডিও প্রতিষ্ঠান
সজীব ভিডিও : ৮৬১৪০৯৭, ০১৭১৫৪২১৬৮৭।
অ্যাডভান্স মাল্টিমিডিয়া : ৮৬৫২৬৫৭, ০১৭১২০৩৬৯৬৮, ০১৭১৬৮১৫৪৯২।
ফিল্ম ফেয়ার ভিডিও লি. : ৯১৩৩২৮১, ০১১৯৯০১৪৬৯৯।
ভিডিও ফেয়ার : ৯৪২৩৬১৩, ০১৭১৩০৩৪১১৩।
ক্লোজআপ ভিডিও : ৮১২১১০৫, ৮১১৫৫০৩, ০১৭১৫১৩০৭৭১।
গীতালী : ৯৬৭১৮৬৯।
সানমুন ভিডিও : ৯৩৩১৯৪৯, ৯৩৪৩৪৬৫, ০১১৯১৩৬৫৩৫৪।
Thursday, 19 June 2014
একটি সুস্থ সন্তানের জন্য প্রত্যেক নারীর যে কাজগুলো করা উচিত
প্রক্রিয়াজাত খাবার বর্জন করুন
প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকে নানান রকমের ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান। ইদানিং অধিকাংশ শিশুই শরীরে প্রায় ৩০০ ধরনের ক্ষতিকর উপাদান নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে যার অনেকটাই মায়ের প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার কারণে সন্তানের দেহে প্রবেশ করছে। বিশেষ করে অধিকাংশ শিশুর দেহেই মার্কারির মত ক্ষতিকর উপাদানের আধিক্য পাওয়া যাচ্ছে যা সাধারণত টিনজাত খাবারের মধ্যে বেশি থাকে।খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া কসমেটিকস ব্যবহার করবেন না
বাইরে যেতে হলেই প্রতিদিনই আমরা লিপস্টিক, কাজল, ফাউন্ডেশন ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকি। সেই সঙ্গে নানান রকম বডি স্প্রে আর পারফিউম ছাড়াও বাইরে বের হওয়া হয়না অনেকেরই। কিন্তু নিয়মিত প্রসাধনী ব্যবহার করলে প্রসাধনীতে ব্যবহৃত নানান রকম বিষাক্ত ক্ষতিকর উপাদান শরীরে প্রবেশ করে এবং তা ভবিষ্যত সন্তানের সুস্থতাকে অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দেয়। তাই ভবিষ্যত সন্তানের সুস্থতার জন্য খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া মেকআপ ব্যবহার না করাই ভালো।ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
ভবিষ্যৎ সন্তানের সুস্থতার জন্য বয়স কুড়ির পর থেকেই ওজনটা নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। কারণ অতিরিক্ত ওজন ভবিষ্যতের সন্তানের সুস্থতার জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে যেতে পারে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম এবং পরিমিত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে নিজেকে সুঠাম রাখার চেষ্টা করুন সবসময়ে।অতিরিক্ত মানসিকচাপ এড়িয়ে চলুন
অতিরিক্ত মানসিক চাপ হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয় যা আপনার ভবিষ্যৎ সন্তান ধারণের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। আর গর্ভধারণের পরে মানসিক চাপ সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝূকিপূর্ণ। তাই ভবিষ্যতে সুস্থ সন্তান পেতে চাইলে মেডিটেশনের মাধ্যমে নিজেকে মানসিক চাপ মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।সন্তান গ্রহণের পরিকল্পনা করুন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে
আপনি কখন সন্তান গ্রহণের পরিকল্পনা করবেন সেটা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ঠিক করুন। আপনার সব ধরনের শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে দেখে নিন আপনার শরীর সেই মূহূর্তে সন্তান ধারণ করার মত অবস্থায় আছে কিনা। কখন সন্তান ধারণ করলে মা ও শিশুর জন্য নিরাপদ হবে সেটা জেনে নিন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে।ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন
নিজের জীবনে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন বাচ্চা হবে ধার্মিক ও আপনার অনুগত। আজকের সমাজের কলুষতা থেকে মুক্ত রাখতে এটি অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ । যথেচ্ছাচার থেকে সন্তান কে মুক্ত রাখতে নিজে ধর্ম পালন করুন বাচ্চা কেও অনুপ্রানিত করুন। তথ্যসূত্র: প্রিয় লাইফSaturday, 14 June 2014
সানন্দা: রেশমি বিরিয়ানি
রেশমি বিরিয়ানি
উপকরণঃমাংশ
- খাসীর গোসতঃ দুই কেজি
- পেঁয়াজ কুচিঃ ৩টা মাঝারি
- আদা বাটাঃ ১ টেবিল চামচ
- রসূন বাটাঃ ২ টেবিল চামচ
- রসুন কোয়া ২০ টা
- জিরা বাটাঃ ২ চা চামচ
- ধনিয়া বাটাঃ ১ চা চামচ
- লাল মরিচ গুঁড়োঃ ৪ চা চামচ
- টক দই ৩ কাপ, পানি ঝরানো
-তেল ১ কাপ, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ
- গল মরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ।
- পোস্তদানাঃ ১/২ চামচ(বাটা)
-লবন
মাংশ রান্না
/বাটা মশলা বাদে সব কিছু দিয়ে মাংস মাখান। ১ ঘন্টা রেখে দিন। সম্ভব হলে ফ্রিজ এ রাখুন। এবার কড়াইতে দিন। মাংশের গা থেকে পানি বের হলে রসুন বাটা দিয়ে নাড়ুন। পানি একটু শুকিয়ে আসলে এতে আদা বাটা ও জিরা বাটা দিন। মাঝারি আঁচ এ কষাতে থাকুন। মশলা ভাজা ভাজা হলে এক চিমটি চিনি ছড়িয়ে দিন। মাংশ সুন্দর নরম হলে নামাণ। যদি মাংশ সিদ্ধ না হয় তাহলে পানি দিয়ে রান্না করুন।
রেশমি মশলা ঃ
২ কাপ পেয়াজ কুঁচি হাত দিয়ে আলাদা আলাদা করে নিন। ডুবো তেলে পেঁয়াজ দিন। একটু সোনালি আভা আসলে তাতে চিনা বাদাম, কাজু, পেস্তা, আমন্ড ১০ টা করে দিন। ২/৩ টা এলাচ ও ১ টা দারচিনি, ৪/৫ টা কিশমিশ দিন। ভাজুন। বাদাম লাল হবে এবং পেঁয়াজ বেরেস্তা হয়ে যাবে। নামিয়ে হাত দিয়ে বা পাটায় হাল্কা বেতে নিন। পানি দেবেন না।
চালের জন্য
- বাসমতী বা কালি জিরা চালঃ এক কেজি
- আস্ত ধনেঃ ১ চামচ
- জয়ফলঃ একটার ৪ ভাগের এক ভাগ
- জয়ত্রীঃ ১"
- তেজ পাতাঃ ২/৩ টা
- লবনঃ পরিমান মত
- দারুচিনিঃ ৩/৪ টুকরা
- এলাচিঃ ৬/৭ টা
- কাঁচা মরিচঃ ৪/৫ টা
- ঘিঃ এক টেবিল চামচ
প্রথমে পানি ফুটিয়ে এর মদ্ধে উপরের উপকরন গুলি(কাচা মরিচ ও ঘি বাদে) একটা কাপড়ের পুঁটলি তে করে বেধে দিয়ে দিন। চাল দিন। চাল ১/৩ অংশ সিদ্ধ করে নিন। (সাধারনতঃ সমপরিমান পানি দিলেই হয়।)
কেওড়া পানি ৩/৪ চা চামচ। এতে হাল্কা গরম দুধ এর সাথে এক্তু খানি কেশর মেশান। রেখে দিন।
রেশমি বিরিয়ানি প্রস্তুতিঃ
একটা মুখ বড়ো তলা মোটা পাত্রে প্রথমে ভাত এর চার ভাগের এক ভাগ ছড়িয়ে দিন।
অল্প এক্তু কেওড়া মিস্রিত পানি দিন।
এর উপরে দুই ভাগের এক ভাগ মাংস দিন, ৩ ভাগের একভাগ রেশমি মশলা দিন।
এভাবে ৪ টি লেয়ার বানান।
সবার উপরে এবং সবার নিচে ভাত এর লেয়ার থাকবে। একদম উপরে কিছুটা ঘি, রেশমি মশলা ও লেবুর রস দিন।
আটার ডো বানিয়ে পাত্রটির মুখ আটকে দিন। হাল্কা আচে অথবা একটি তাওার উপরে নরম আচে পাত্রতি বসান।
দম এ রান্না হোক, ৩৫ মিনিত।
জ্বাল বন্ধ করে আর ১০ মিনিট রাখুন।
তারপর মুখ খুলে গরম গরম পরিবেশন করুন রেশমি বিরিয়ানি।