please find this

Saturday, 7 June 2014

যত্নে রাখুন প্রিয় জিনিসগুলো


প্রসাধন

নারী সাজতে ভালোবাসে। পরিপাটি করে চলতে চায় নারী। তাই নিজেকে আরেকটু সুন্দর করে তোলার জন্য প্রয়োজন প্রসাধনী। আর সেসব প্রসাধনি সামগ্রীর যত্ন নিয়ে এ লেখা।

# লিপগ্লস, লিপজেল, আইলাইনার, মাশকারা ইত্যাদি ফ্রিজে রাখুন। এতে নষ্ট হওয়ার ভয় থাকবে না।

# মেকআপ নেওয়ার সময় যে পাফ, ব্রাশ বা স্পঞ্জ ব্যবহার করা হয় তা মেকআপ শেষে ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে নিন, এরপর টিস্যু দিয়ে পেঁচিয়ে রাখুন।

# অনেক সময় ময়েশ্চারাইজার, ফাউন্ডেশন ব্যবহারের সময় হাতে বেশি পরিমাণ পড়ে গেলে আমরা আবার তা ঢুকিয়ে রাখি। এ কাজটি একেবারেই উচিত নয়। যদি পুরো ব্যবহার করা না যায় তাহলে আলাদা পাত্রে ঢেকে রাখুন এবং এক ঘণ্টার মধ্যে ব্যবহারের চেষ্টা করুন।

# ওয়াটার বেসড ফাউন্ডেশন অনেক সময় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই শুকিয়ে যায়, এ থেকে রেহাই পেতে ব্যবহারের আগে অ্যালকোহল ফ্রি টোনার কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন।

# মেকআপ ব্রাশ ২-৩ মাস অন্তর সাবান পানি বা সামান্য বেবি শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে নেবেন।

# ফেস পাউডার এবং বিভিন্ন তরল মেকআপ প্রসাধন সামগ্রী ছোট বক্সে বা বোতলের কিনবেন। কারণ বোতল বা বক্স প্রসাধনী দীর্ঘদিন থাকার ফলে জমাট বেঁধে যায় এবং ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

গয়না

নারীদের সাজগোজের অন্যতম একটি উপকরণ হচ্ছে গয়না। যেকোনো পোশাকের সঙ্গে নারীদের চাই মানানসই গয়না। এটি হতে পারে ছোট্ট একটি কানের দুল অথবা জাঁকজমকপূর্ণ কোনো গয়নার সেট। দিন বদলের সঙ্গে বদলে যাচ্ছে নারীদের গয়নার ধরন। বর্তমানে স্বর্ণ, রুপা, হীরার বা রুপার গয়নার পাশাপাশি নারীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে অ্যান্টিক, মাটির গয়না, কাঠের গয়নাসহ বিভিন্ন ধরনের গয়না।

শুধু গয়না পরলেও হবে না, পছন্দের গয়নাটি দীর্ঘদিন ব্যবহারের জন্য এবং এর সৌন্দর্য ধরে রাখতে নিতে হবে সঠিক যত্ন। তবে এসব গয়নার যত্ন সম্পর্কে অনেকেরই তেমন একটা ধারণা নেই। একেক ধরনের গয়নার যত্ন একেক রকম। যদি সঠিকভাবে গয়নার যত্ন নেওয়া যায়, তবে আপনার মূল্যবান গয়না থাকবে সবসময় নতুনের মতো ঝকঝকে।

স্বর্ণের গয়না

সোনার গহনা সামান্য আঘাতে বেঁকে যায়। তাই এ দিকটি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। স্বর্ণ অনেক দিন পুরোনো হয়ে গেলে এর উজ্জ্বলতা কমে যায়। উজ্জ্বলতা বাড়াতে একটি পাত্রে পানির মধ্যে একটু ডিটারজেন্ট পাউডার মিশিয়ে তার মধ্যে স্বর্ণের গয়না একটু টুথপেস্ট লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে, টুথব্রাশ দিয়ে সাবধানে হালকাভাবে ঘষে নিন। দেখবেন আপনার স্বর্ণের গয়না আবার নতুনভাবে উজ্জ্বলতা ফিরে পেয়েছে। এরপরও যদি কালচে ভাব থেকে যায়, তাহলে স্বর্ণের দোকানে নিয়ে পলিশ করাতে পারেন। কিন্তু বারবার পলিশের ফলে স্বর্ণের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়।

রুপার গয়না

রুপার গয়না সুন্দর রাখতে বেশি কষ্টের প্রয়োজন হয় না। এজন্য প্রথমে গয়নাটি ভালোভাবে মুছে তার উপর ট্যালকম পাউডার লাগান। এরপর শুকনা সুতি কাপড় দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। সঠিকভাবে যত্ন নিলে আপনার রুপার গয়না ভালো থাকবে দীর্ঘদিন।

মুক্তার গয়না

মুক্তার গয়না ব্যবহার শেষে নরম, ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। তবে খুব বেশি ময়লা হলে পানিতে সামান্য সাবান মিশিয়ে নিয়ে ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। মুক্তার গয়না প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখা উচিত নয়।

পাথরের গয়না

ভারী কুন্দন, পাথর বসানো গয়না গরম পানিতে নরম কাপড় ভিজিয়ে ঘষে পরিষ্কার করলে গয়না ঝকঝকে হয়ে উঠবে। দামি পাথর বসানো গয়না পড়ে খেলাধুলা বা ভারী কাজ করা ঠিক না।

গোল্ড প্লেটের গয়না

স্বর্ণের দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে গোল্ড প্লেটের গয়নার ব্যবহার বাড়ছে। এই গয়না ব্যবহার শেষে টিস্যু দিয়ে মুড়িয়ে যত্ন করে রাখতে হবে। গোল্ডপ্লেটের গয়না ব্যবহারের সুবিধা হচ্ছে কালো হয়ে গেলে স্বর্ণের দোকানে নিয়ে গেলে আবার রং করিয়ে নেওয়া যায়। রং করার পর নতুনের মতো দেখাবে।

অ্যান্টিক মেটালের গয়না

অ্যান্টিকের গয়না ব্যবহার না করলে বর্ণহীন দেখায়, তবে একফালি লেবু নিয়ে গয়না ঘষে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে গয়না ঝকঝক করবে।

হীরার গয়না

হীরার গয়না পরিষ্কার করতে হলে একটু টুথপেস্ট ব্রাশে নিয়ে ঘষে, পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তারপর পরিষ্কার করে টিস্যু দিয়ে মুড়িয়ে রাখতে হবে। হীরার গয়নার যত্ন নিলে নতুনের মতো দেখায়। স্বর্ণ, রুপা, হীরা ও মেটালের গহনা একই বাক্সে রাখা উচিত না। আলাদা আলাদা বক্সে টিস্যু দিয়ে মুড়িয়ে রাখতে হবে।

ভালোভাবে যদি গয়নার যত্ন নিন, তবে আপনার গয়না থাকবে সবসময় নতুনের মতো উজ্জ্বল, আকর্ষণীয় ও দীর্ঘস্থায়ী।

জুতো

নিত্যদিন ব্যবহারের জুতোগুলোকে না হয় বাদই দিলাম, এমনিতেও তো শখ করে কেনা হয় কত হরেক রকমের জুতো। হয়তো কোনো উৎসব উপলক্ষে পোশাকের সাথে মিলিয়ে কিনেছেন, বিশেষ দিন ছাড়া পরা হয় না। এমন পরিস্থিতিতে কী হয়? ঘরে পড়ে থেকে থেকে যত্ন হয়ে যায় সাধের জুতো। আবার আপনার প্রতিদিন ব্যবহারের জুতোগুলোকেও যদি একটু যত্ন করতে পারেন, তাহলে কিন্তু টিকবে বহুকাল। দেখতে থাকবে নতুনের মত আর আপনার পয়সাও বাঁচবে। আসুন দেখি, শখের জুতোকে দীর্ঘস্থায়ী করার কলাকৌশল।

-জুতো কখনো খোলা ফেলে রাখবেন না। বিশেষ করে শৌখিন জুতো। শু আলমারি ব্যবহার করুন, নিদেন পক্ষে জুতোর বাক্সে ঢুকিয়ে রাখুন।

-স্যাঁতসেঁতে , ভেজা স্থানে জুতো রাখবেন না।

-বাইরে যাবার সময় নয় বরং বাইরে থেকে ফিরে জুতো পরিষ্কার করুন।

-চামড়ার জুতোয় রাতে ক্রিম মাখিয়ে রাখুন, সকালে ব্রাশ দিয়ে সামান্য ঘষলেই জুতা চকচকে হয়ে উঠবে।

-কোলাপুরি চপ্পল বা এ ধরনের স্যান্ডেল বিবর্ণ হয়ে পড়লে এক টুকরো কাপড় ডিজেলে ভিজিয়ে সেটা দিয়ে স্যান্ডেল ঘষুন। স্যান্ডেল নতুনের মতো চকচকে হয়ে উঠবে।

-জুতো ভিজে গেলে অনেকেই ভেজা জুতো সরাসরি আগুনের তাপে বা রোদে শুকাতে দেন। এই কাজটি করবেন না, এতে জুতোর আকার নষ্ট হয়ে যায়। প্রথমে ময়লা বা কাদা পরিষ্কার করে মুছে এরপর জুতোর ভেতরে পুরনো খবরের কাগজ ভালো ভাবে গুঁজে দিন। এই কাগজ পানি শুষে নেবে এবং আকার ঠিক রাখতে সাহায্য করবে। মোটামুটি শুকিয়ে যাবার পর স্যাঁতস্যাঁতে ভাব কমাতে জুতো কিছুক্ষণ রোদে রেখে দিন। পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে জুতার গায়ে ভ্যাসলিন মাখুন। কয়েক ঘণ্টা রেখে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। এরপরও যদি সাদা সাদা দাগ থাকে তাহলে নরম কাপড় ভিনেগারে ভিজিয়ে জুতো মুছে ফেলুন, দাগ থাকবে না।

-কারো কারো জুতা ব্যবহারের পর প্রচণ্ড দুর্গন্ধ হয়। এক্ষেত্রে জুতার ভেতর খবরের কাগজ গুঁজে সারা রাত রেখে দিন। সকালে উঠে দেখবেন গন্ধ আর নেই! ভেতরে রেখে দিতে পারেন বেকিং সোডাও। দ্রুত গন্ধ চলে যাবে।

-সৌখিন জুতো কখনো ভেজা কাপড় দিয়ে মুছবেন না। খুব জেদি দাগ হলে গ্লাস ক্লিনার ব্যবহার করুন।

-জুতো মেরামত করতে কখনো সুপার গ্লু ব্যবহার করতে যাবেন না যেন!

তথ্যসূত্র: সমকাল শৈলী

No comments:

Post a Comment